বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ২য় ধাপে আরো ২১ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে (২০২১-২২) অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর করেছে।
আজ রোববার ইউজিসি অডিটরিয়ামে চলতি অর্থবছরের চুক্তি সম্পাদন অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে ২৮ আগস্ট প্রথম ধাপে ২৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
কমিশনের সচিব ও সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
ইউজিসি সদস্য ও এপিএ টিমের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এবং অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
রেজিস্ট্রারদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রার ড. মো. হুমায়ূন কবীর।
ইউজিসি সূত্র জানায়, সরকারি কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে দেওয়া বক্তৃতায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিতে সহায়ক হবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনায় বিদ্যমান আইন, বিধি ও শৃঙ্ক্ষলা অনুসরণ করার আহবান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আর্থিক স্বচ্ছতা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য ইউজিসি অডিট কার্যক্রম আরো জোরদার করবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এসময় ইউজিসি চেয়ারম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতিশীলতা ও স্বচ্ছতা আনয়নে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন ইউজিসি চেয়ারম্যান।
এক্ষেত্রে ইউজিসি থেকে প্রয়োজনীয় সব রকমের সহযোগিতা করা হবে বলেও তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে ২৫ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও এপিএ’র ফোকাল পয়েন্ট উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছর থেকে ইউজিসি প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এ চুক্তিটি স্বাক্ষর করে আসছে।