ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) সব ওয়ার্ডে শৌচাগার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর বংশালের নয়াবাজার গণশৌচাগার নির্মাণ কাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এ কথা জানিয়েছেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ৫০ নম্বর ওয়ার্ড, যাত্রাবাড়ী, মগবাজার উড়ালসেতুর নিচে, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডসহ ছয়টি শৌচাগার উদ্বোধন করেছি এবং আরও পাঁচটি চলমান আছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোয় শৌচাগার নির্মাণ করার জন্য আমরা জায়গা খুঁজছি। দক্ষিণে আসার পর থেকে মোট ৩৬টি শৌচাগার চালু করেছি। অনেকগুলো দখল অবস্থায় ছিল, আমরা সেগুলো দখলমুক্ত করেছি। যেগুলো যত্রতত্রভাবে পড়ে ছিল, সেগুলোকে নতুন করে চালু করেছি।
তিনি বলেন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জনবহুল এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি এবং সেখানে আমরা শৌচাগার নির্মাণ করার প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা এটাসহ নতুন করে ছয়টি ওয়ার্ডে শৌচাগার নির্মাণ করেছি এবং অন্য ওয়ার্ডগুলোয় আমাদের কার্যক্রম চলছে।
নগরের ভ্রাম্যমাণ শৌচাগারগুলো সরিয়ে ফেলার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মেয়র বলেন, ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার তেমন ভালো সেবা নিশ্চিত করতে পারেনি। এ জন্য আমরা ভ্রাম্যমাণ শৌচাগার বাদ দিয়ে নির্দিষ্ট স্থায়ীভাবে শৌচাগার নির্মাণ করার কার্যক্রম চালু রেখেছি।
শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, খালের পাশে যেন জনগণ একটি উপভোগ্য নান্দনিক পরিবেশ পায় সে অনুযায়ী আমারা কাজ করছি। আগামী ২ বছর মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। আমরা আশাবাদী, এতে করে স্থায়ীভাবে খালগুলো দখলমুক্ত হবে।
মেয়র তাপস বলেন, ওয়াসার কাছ থেকে হস্তান্তরের পর বার্ষিক সূচি অনুযায়ী জানুয়ারি মাস হতে আমরা খাল এবং নর্দমা থেকে বর্জ্য ও পলি অপসারণ করে চলেছি। যাতে করে বর্ষা মৌসুমের আগেই সেগুলো পরিষ্কার হয় এবং জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়। এছাড়াও জিরানি, মান্ডা, শ্যামপুর ও কালুনগর খাল নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আমাদের যে প্রকল্প পাস করে দিয়েছেন, সে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। জিরানি খালের ত্রিমোহনী হতে আমাদের কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এখন পূর্ণরূপে খনন, বর্জ্য অপসারণ এবং সীমানা চিহ্নিতকরণ করছি। সীমানা নিশ্চিত করে আমরা সেখানে বেষ্টনী দেব। এ নিয়ে আমাদের পরামর্শকরা কাজ করেছেন। সেখানে হাঁটার পথ, সাইকেল চালানোর পথ, গণপরিসর সৃষ্টি, সবুজায়ন করা হবে। যাতে করে এলাকার জনগণ একটি উপভোগ্য নান্দনিক পরিবেশ পায়।
পরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস হাজারীবাগ এলাকার ১৪ ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডে গরিব-দুস্থ জনগোষ্ঠীর মধ্যে কম্বল বিতরণ করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান প্রকৌশলী আশিকুর রহমান, ৪ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাহার মিয়া, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আব্দুল মান্নান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইলিয়াছুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের আয়শা মোকাররম প্রমুখ।