ফুটবল খেলায় হাতাহাতির ঘটনা নতুন কিছু নয়। বল দখল কিংবা তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অনেক সময় ফুটবলারদের মাঝে বেঁধে যায় বাদানুবাদ যা রূপ নেয় মারামারিতে। আবার অনেক সময় অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একজনের আঘাতে আহত হন সতীর্থ কেউ। তবে এবার যা ঘটেছে তা বেশ অবাক করার মতোই।
এ বছরেরই ঘটনা, ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলোর ট্যাকলে মাঠেই পা ভেঙে দুই ভাগ হয়ে যায় এক ফুটবলারের। পরে সেই আহত ফুটবলারকে সাথেই সাথেই নেয়া হয় হাসপাতালে। তবে এবার যা ঘটেছে তা কোনো ফুটবলারকে নিয়ে নয়।
গত সোমবার ফুটবল মাঠে রেফারিকে ঘুষি মেরেছেন তুরস্কের আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি। আর তাতে বাজেভাবে আহত হন সেই রেফারি যে কারণে তাকে নেয়া হয়েছিল হাসপাতালেও।
তুরস্কের শীর্ষ ফুটবল লিগে গত সোমবার ঘটেছে এমন ঘটনা। দেশটির শীর্ষ লিগে খেলা দুই ক্লাব আঙ্কারাগুজু ও রিজেসপোর। ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ার পর আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি মাঠে ঢুকে ঘুষি মারেন রেফারি হালিল উমুত মেলেরকে।
ক্লাব সভাপতির ঘুষিতে সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে পড়ে যান রেফারি। বা চোখ ফুলে ওঠে, কালশিটেও পড়ে যায়। এরপর তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। এদিকে এমন ঘটনার পর দেশটির শীর্ষ লিগকে স্থগিত ঘোষণা করেছে তুরস্কের ফুটবল ফেডারেশন। সেই সঙ্গে সেই রাতেই গ্রেপ্তার করা হয় ক্লাবটির সভাপতিকে।
এবার গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক দিন পর তুরস্কের আঙ্কারাগুজু ক্লাবের সভাপতি ফারুক কোজাকে ফুটবল থেকে আজীবন নিষিদ্ধ করেছে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন (টিএফএফ)।
টিএফএফ আরও জানিয়েছে, সুপার লিগের ক্লাব আঙ্কারাগুজুকে ২০ লাখ লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭৫ লাখ ৫২ হাজার টাকা) জরিমানাও দিতে হবে। আর ক্লাব কর্মকর্তা এবং সমর্থকদের মধ্যে অস্থিরতা চলার কারণে ঘরের মাঠে পাঁচটি ম্যাচে দর্শক ছাড়াই খেলতে হবে আঙ্কারাগুজুকে। এ ছাড়া ঘুষি মারার সেই ঘটনায় ক্লাবের অন্যান্য অফিশিয়ালদেরও বিভিন্ন মেয়াদে নিষেধাজ্ঞা, জরিমানা ও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।