আসন ভাগাভাগি নিয়ে আজ বৈঠকে বসবেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ৮টায় সংসদ ভবন এলাকায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র এবং সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
জোটের শরিক জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার গণমাধ্যমকে বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়ে আমরা রাতে বৈঠকে বসব। সেখানে আমরা আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কথা তুলে ধরব। একাদশ জাতীয় সংসদে বর্তমানে আওয়ামী লীগের শরিক ১৪ দলীয় জোটের আটজন সংসদ সদস্য রয়েছেন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ৫-৬টি আসনে ছাড়ের কথা বলা হচ্ছে।
এর আগে, সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর গণভবনে বৈঠকে বসে ১৪ দলের শরিক দলগুলো। ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত বৈঠক শেষ না হওয়ায় আসন বণ্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৈঠক শেষে ১৪ দলের নেতারা জানান, ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর ওপর আসন বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী দু-এক দিনের মধ্যে তিনি বিষয়টি চূড়ান্ত করবেন।
গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলীয় জোটের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পাটি (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরিন আখতার, ওয়ার্কার্স পাটির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে শিকদার, সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ খান, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সভাপতি জাকির হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ড. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, গণতান্ত্রী পার্টি সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) সভাপতি মোজাফফর আহমেদ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান প্রমুখ অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ছিল ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হয় ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনী প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির ৫ তারিখ পর্যন্ত চলবে।