মোঃ রায়হান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পর্যটন খাতে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে নীল জলরাশী, হাজারো অতিথি পাখির আগমন ও লাল কাকড়ার ছোটাছুটির জন্য খ্যাত চর বিজয়।
গভীর সাগরে নীল জলরাশীর মাঝে জেগে উঠা মনোমুগ্ধকর এই দ্বীপটি, সূর্যোদয় সূর্যাস্তের লীলাভূমি সাগরকন্যা খ্যাত কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে নতুন পালক যোগ করেছে। প্রতিবছর শীতের আগমনের সাথে সাথে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু হয় এই চরে। তবে বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা, হরতাল ও অবরোধ এর প্রভাবে পর্যটকদের আগমনে কিছুটা ভাটা পরলেও ইতিমধ্যে চরে আসা যাওয়া শুরু করেছে পর্যটকরা।
২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে এই চরের সন্ধ্যান পাওয়ায় চর/ দ্বীপটির নামকরন করা হয় চর বিজয়। স্থানীয়দের কাছে যা হাইরের চর নামেও পরিচিত। চরটি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের গঙ্গামতী থেকে দক্ষিণ-পূর্ব কোণে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে। দ্বীপটির আয়তন আনুমানিক ৫ হাজার একর। লাল কাঁকড়া আর হাজারো অতিথি পাখির বিচরণে আকাশ আর চর মিলে একাকার হয়ে থাকে এই দ্বীপ।
কুয়াকাটার ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে দ্বীপটি অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গায় রূপ নিয়েছে। বছরের ৬ মাস জেগে থাকে এই চর। মূলত এ চরে জেলেরা অস্থায়ী বসবাস করেন। তিন মাসের জন্য চরে আসা জেলেরা এখানে মাছ শিকার করেন এবং মাছের শুঁটকি প্রস্তুত করেন।
চরের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে আসা পর্যটকদের সেবায় কাজ করছে টুরিস্ট বোট ও স্পিড বোট সহ বেশ কয়েকটি টুরিস্ট গাইড এজেন্সি। মৌসুমের শুরুতে এসব ব্যবসায়ীরা প্রস্তুত থাকলেও কাঙ্খিত পর্যটক না থাকায় হতাশ হয়ে পরছে।
স্পিড বোট চালক রুহুল আমীন জানান, “যে রকম টুরিস্ট এর আসা করেছিলাম সে রকম ট্যুরিস্ট এখন ও আসা শুরু করেনি। ট্রিপ ও কম আমাদের।
তাই আমাদের ইনকামও কম। আর ইনকাম কম থাকায় সংসার সালাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাচ্চু খলিফা নিউজ টাইমসকে বলেন, “চর বিজয় এ অতিথি পাখির আগমন কয়েকদিন আগে থেকে শুরু হয়েছে, কিন্তু বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে আমরা আশানরূপ ট্যুরিস্ট পাচ্ছি না। আশা করছি রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অসংখ্য পর্যটকদের আগমন ঘটবে চর বিজয়ে। চরের সৌন্দর্য উপভোগ করাতে আমরাও টুরিস্টদের চরে নিয়ে যেতে পারবো”।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা রিজিয়নের পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ বলেন, “চর বিজয় একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। এখানে প্রতি বছর প্রচুর পর্যটকের আগমন ঘটে। সেখানে যারা যায় তাদের তাদের সকলের নিরাপত্তার সার্থে তাদের নাম আমাদের রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত করি এবং সংরক্ষণ করি। এছাড়া কুয়াকাটা ঘুরতে আসা পর্যটকদের সার্বক্ষণিক সুবিধা, অসুবিধা ও নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে ”।
