‘বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতান্ত্রিক, গ্রহণযোগ্য, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায় পুরো বিশ্ব’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
আজ বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ইসির সঙ্গে বৈঠক শেষে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ কথা জানান।
বিকেল তিনটা থেকে ৫টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টাব্যাপী চলা বৈঠকে হোয়াইটলি ছাড়াও ইইউর সাতটি দেশের রাষ্ট্রদূতরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল, অন্য ৪ নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে অংশ নেন।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, রাজনৈতিক বিভাজন থাকতে পারে, তবে সংবিধানের বাইরে গিয়ে ভোট করার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন যথাসময়ে হবে। বিষয়টা আমরা ইইউ প্রতিনিধিদের স্পষ্ট করে বুঝিয়েছি।
সিইসি আরও বলেন, প্রতিনিধি দলটি দীর্ঘ সময় আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জেনেছেন। আমাদের অগ্রগতি সম্পর্কে তাদের জানিয়েছি। আমরা আগের মতোই স্পষ্ট করে জানিয়েছি, নির্বাচন ফ্রি-ফেয়ার, পিসফুল এবং ক্রেডিবল যাতে হয়- সেটি নিশ্চিত করতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তারা আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়েছেন।
বৈঠকে ঢাকায় নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির নেতৃত্বে সংস্থাটির ডেপুটি হেড অব মিশন ব্রেন্ড স্পাইনার, পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্তিয়ান রিগার ব্রাউন, সুইডেনের অ্যাম্বাসেডর আলেকজান্ডার বার্গ ফন লিন্দ্রে, ডেনমার্কের অ্যাম্বাসেডর ক্রিস্টিয়ান ব্রিক্স মুলার, স্পেনের অ্যাম্বাসেডর ফ্রান্সিসকো ডি আসিস বেনিতেজ সালাস, ইতালির অ্যাম্বাসেডর আন্তোনিও অ্যালেসান্দ্রো, কিংডম অব নেদারল্যান্ডসের অ্যাম্বাসেডর ইরমা ফেন ডুয়েরেন, ফ্রান্সের ডেপুটি হেড অব মিশন গুইলাম অড্রেম ডে কারড্রেল ও জার্মান অ্যাম্বাসির এক প্রতিনিধি উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে, ২২ নভেম্বর বৈঠক করতে চেয়ে সিইসিকে ই-মেইল করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি। এতে বৈঠকের জন্য ২৭ নভেম্বর সময় চেয়েছিলেন তিনি। তবে বেশির ভাগ কমিশনার নির্বাচনী সফরে ঢাকার বাইরে অবস্থান করায় ২৭ নভেম্বরের পরিবর্তে ২৯ নভেম্বর সময় দেয় ইসি।
ইইউ রাষ্ট্রদূতের চিঠিতে বলা হয়, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আমরা এরই মধ্যে আপনাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেছি।
চিঠিতে আরও জানানো হয়, আগামী সপ্তাহে ইইউ মিশনের প্রধানদের সঙ্গে আপনারা যৌথ বৈঠকের সুযোগ করে দেবেন। ২৭ নভেম্বর বিকেল ৩টায় আপনার সঙ্গে বৈঠক করতে আগ্রহ প্রকাশ করছি। এ বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ও আলোচনার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি।