প্রথম দুই ম্যাচের বাজে পারফরমেন্সকে পেছনে ফেলে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ৭ উইকেটের জয় শুধুমাত্র হোয়াইটওয়াশ এড়াতেই সহায়তা করেনি, দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে আত্মবিশ্বাসী করেছে বাংলাদেশকে।
আগামী ১৪ এবং ১৬ জুলাই সিলেটে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি অনুষ্ঠিত হবে।সংক্ষিপ্ত ভার্সনে নি:সন্দেহে আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম সেরা দল।
পরিসংখ্যানে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশের চেয়ে আফগানিস্তান অনেক এগিয়ে রয়েছে। যেখানে নয়বারের মোকাবেলায় আফগানদের জয় ৬টিতে এবং বাংলাদেশের ৩টিতে। সবগুলোতেই সহজ জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। অন্য দিকে জয় পেতে ঘাম ঝড়াতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচে সহজভাবেই যথাক্রমে ৮ এবং ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। কিন্তু শেষ পাঁচ লড়াইয়ের মধ্যে দু’টি জয় পায় বাংলাদেশ। অর্থাৎ, আফগানদের বিপক্ষে মোট তিনটি জয়ের মধ্যে দু’টিই সাম্প্রতিক সময়ে পেয়েছে টাইগাররা।
সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বে এই ফরম্যাটে বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নতি করছে। ২-১ ব্যবধানে হারা ওয়ানডে সিরিজে দলকে শেষ দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেন লিটন দাস।, শেষ ওয়ানডের জয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবারের মত টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিততে আত্মবিশ^াস যোগাবে বলেই আশা করছেন লিটন।
২০২২ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হয়েছিলো।
তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে ৭ উইকেটে জয়ের পর লিটন বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে শেষ ওয়ানডের জয় টনিক হিসেবে কাজ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ছেলেরা ভালো পারফরমেন্স করেছে। শরিফুল ও তাসকিন নতুন বলের সুবিধা কাজে লাগিয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে ভালো করেছে স্পিনাররা। পুরো কৃতিত্ব বোলারদের। নিশ্চিতভাবেই আত্মবিশ^াসী হয়ে আমরা টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবো।’
সিরিজে প্রথমবার খেলতে নেমে ২১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেন শরিফুল। তার বোলিং নৈপুন্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বৃষ্টি আইনে প্রথম ম্যাচ ১৭ রানে এবং দ্বিতীয়টি ১৪২ রানে হেরে চাপে থাকা বাংলাদেশ।
শরিফুল বলেন, ‘ এই জায়গা আসতে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর আমাকে কিছু কাজ দিয়েছিলন হাথুরুসিংহে ও ডোনাল্ড এবং আমি সেগুলো করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বোলিং জুটি যখন ভালো হয়, তখন ছন্দেরও উন্নতি হয়। তাসকিন খুব ভালো বোলিং করছিল যা আমার জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে।’