অর্পিত সম্পত্তি আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪-এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আনা দুটি রিট খারিজ করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে অর্পিত সম্পত্তি নিয়ে সব মামলা এখন থেকে ট্রাইব্যুনালে চলবে।
বিচারপতি নাইমা হায়দারের নেতৃত্বে তিন বিচারপতি সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ এ রায় দেন। বেঞ্চের অপর দুই বিচারপতি ছিলেন বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান।
সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ আদালতের রায়ের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, আদালত রায়ে বলেন-অর্পিত সম্পত্তি আইনের ৯, ১৩ ও ১৪ ধারা সংবিধান পরিপন্থি নয়। এ নিয়ে আনা পৃথক দুটি রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতোপূর্বে জারি করা রুল ডিসচার্জ করে রায় দেন আজ হাইকোর্টের একটি লার্জার (বৃহত্তর) বেঞ্চ। তিনি জানান, অর্পিত সম্পত্তি জেলা প্রশাসকের অধীনে থাকবে এবং জেলা প্রশাসক প্রয়োজনে লিজ দিতে পারবেন। এ ছাড়া এ-সংক্রান্ত সব মামলার আবেদন অর্পিত সম্পত্তি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করতে হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র এডভোকেট মনজিল মোরসেদ। জেলা প্রশাসনের পক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
এডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, আজকের এ রায়ের ফলে অর্পিত সম্পত্তির তদারকি ও লিজ দেয়ার ক্ষমতা জেলা প্রশাসকদের হাতেই রইল এবং এ সংক্রান্ত মামলা কেবল অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ ট্রাইব্যুনালেই দায়ের করার বাধ্যবাধকতা তৈরি হলো।
অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত কতিপয় সম্পত্তি বাংলাদেশি মূল মালিক বা তাহার বাংলাদেশি উত্তরাধিকারী বা এদের বাংলাদেশি স্বার্থাধিকারীর নিকট প্রত্যর্পণ সম্পর্কে বিধান প্রণয়ন করে ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন-২০০১’ পাস করা হয়। এ আইনের ধারা ৯, ১৩ ও ১৪ সংবিধান পরিপন্থী দাবী করে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে খুলনার শ্যামল কুমার সিংহ এবং চট্রগ্রামের মো. মশিউর রহমান ২০১২ সালে দুটি রিট করেন। এ রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেছিলে। ওই রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ হাইকোর্ট রায় দেন।