You are here
Home > ব্যাবসা-বাণিজ্য > আরএমজি শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধিতে বায়লা’র গবেষণা

আরএমজি শিল্পের রপ্তানি বৃদ্ধিতে বায়লা’র গবেষণা

বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়াং লিডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বায়লা) “রোড টু রিকভারি” শীর্ষক একটি গবেষণা কর্মসূচি শুরু করেছে।

আরএমজি শিল্পকে কীভাবে উন্নত ও শক্তিশালী করা যায় সে বিষয়ে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করবে বায়লা। এর আলোকে ৮ আগস্ট রবিবার একটি অনলাইন সেশনের আয়োজন করেছে বায়লা।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনভয় গ্রুপ ও বিজিএমইএ-এর পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী, ফতুল্লা অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকেএমইএ-এর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান, এবং স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম।

অর্থনীতির দিক থেকে সাম্প্রতিক এক দশকে অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আর সেই সাফল্য এসছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প থেকে।

১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকে বাংলাদেশ বিশ্বমঞ্চে দ্রুত এগিয়ে চলছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে এমডিসিতে স্থানান্তরিত হবে। এছাড়াও দেশের বৃহত্তম রপ্তানি শিল্প হচ্ছে আরএমজি সেক্টর, যেখান থেকে মোট রপ্তানির ৮৩% এর বেশি হয়ে থাকে।

কিন্তু কোভিড -১৯ কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আরএমজি শিল্প । যার ফলে এই শিল্পখাতে কমেছে দেশের বাইরে থেকে আসা অর্ডার, তৈরি হয়েছে আর্থিক সমস্যা, বন্ধ হয়েছে কারখানা।

শিল্প মালিকদের এই সঙ্কা কাটাতে করোনার মধ্যে রিকভারি প্ল্যানের উপর একটি গবেষণা করেছে বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইয়াং লিডার্স অ্যাসোসিয়েশন (বায়লা)।

“রোড টু রিকভারি” শীর্ষক একাধিক ফোকাস গ্রুপ সেশন, ইন্টারভিউ এবং ২৫০ টি পোশাক শিল্পের সার্ভে নিয়ে একটি গবেষণা সাজিয়েছে বায়লা।

ব্রডওয়ে গ্রুপের ডিএমডি ও বায়লা’র এসভিপি সাকিব আহমেদ-এর উপস্থাপনায় অনলাইন সেশনে এনভয় গ্রুপ ও বিজিএমইএ-এর পরিচালক ব্যারিস্টার শেহরিন সালাম ঐশী বলেন, “আরএমজি সেক্টরটি আন্তর্জাতিক। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ কারখানা খোলা রেখেছে সেখোনে আমাদের দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করলে লকডাউন কোন পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়। সম্প্রতি ভিয়েতনাম আমাদের টপকে এখন আরএমজি সেক্টরে ২য় স্থানে অবস্থান করে নিয়েছে। তাদের ভৌগলিক অবস্থানের জন্যই ভিয়েতনাম আজ এই অবস্থানে এসেছে। তারা লকডাউনের বদলে স্বাস্থ্যবিধি এবং ভ্যাক্সিন নিশ্চিত করার মাধ্যমেই তাদের করোনা অবস্থার উন্নতি সাধন করেছে। আমাদেরকেও একই পন্থা অবলম্বন করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ আমাদের এই সেক্টরে পথনির্দেশক হিসেবে পাশে থাকার জন্য। একই সাথে কারখানার শ্রমিকদের পাশাপাশি পরিবারের লোকদেরও স্বাস্থ্য-বিধি সম্পর্কে সচেতন করতে হবে।”

অনলাইন সেশনে ফতুল্লা অ্যাপারেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিকেএমইএ-এর পরিচালক ফজলে শামীম এহসান বলেন, “করোনার প্রথম বছরে কারখানার ০.০৩% শ্রমিকরা আক্রান্ত হয়ে ছিলো। যেটা খুবই সামান্য, তবে এ বছরের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তার পরেও সরকারের সহযোগিতায় ফন্টলাইনার হিসেবে শ্রমিকদেরকে ভ্যাক্সিন দেওয়া হচ্ছে। একই সাথে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমার কারখানাগুলোতে ট্রেনিং-এর ব্যবস্থাও করছি। যাতে তারা তাদের পরিবারকেও সচেতন করতে পারে। এছাড়াও আমাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী গাইডলাইন করা উচিত। যেহেতু দেশের অর্থনীতির কথা চিন্তা করলে এখন আর লকডাউনে পড়ে থাকলে হবে না। তাই দেশে করোনার যেকোন পরিস্থিতিই হোক না কেন সেই পরিস্থিতিতেই আমার কোন ভাবে কারখানা চালু রাখতে পারি তা বের করতে হবে।”

অনুষ্ঠানে স্প্যারো গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শোভন ইসলাম বলেন,“ আমাদের পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই। তার দিকনির্দেশনাতেই আমরা আমাদের ফ্যক্টরিগুলো আবার চালু করতে সক্ষম হয়েছি। যার কারণে বিদেশী বায়াররা আমাদের উপর আস্তা অর্জন করতে পেরেছে। গত বছর জুলাই থেকে এই বছর জুন পর্যন্ত ৯০ শতাংশ অর্ডারই আমরা সময়মত ডেলিভার করতে পেরেছি। বিজেএমইএ এবং বিকেএমইএ এর অসাধারণ টিম আমরা আমাদের পাশে পেয়েছি। যা আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে আরও দৃঢ় করে গড়ে তুলছে।”

Similar Articles

Leave a Reply

Top