ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করার জন্য অস্ত্র সরবরাহ করলে চীন ‘মারাত্মক ক্ষতির’ সম্মুখিন হবে বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
সোমবার হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান রয়টার্স বলেন, ওয়াশিংটন এবং এর ন্যাটো মিত্ররা চীনকে মস্কোর যুদ্ধের জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান থেকে বিরত থাকতে হুঁশিয়ারি দিয়েছে। বেইজিং সামরিক সহায়তা করবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাদেরকেই নিতে হবে। কিন্তু তারা সে পথে হাঁটলে বাস্তবিক মূল্য দিতে হবে।
সুলিভান বলেন, মার্কিন কর্মকর্তারা তাদের চীনা সমকক্ষদের সাথে রুদ্ধদ্বার আলোচনাকালে বলেছেন, এই সিদ্ধান্ত নিলে দেশটিকে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে। তবে গোপন ওইসব আলোচনার আরো বিস্তারিত জানাননি তিনি।
শনিবার ভারতে জি২০ বৈঠকে বেইজিং ইউক্রেনের উপর মস্কোর হামলার নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছে। এর আগে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের প্রথম বার্ষিকীতে তারা একটি যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রকাশ করে। তবে প্রস্তাবটি ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে সংশয়ের উদ্রেক করেছে।
এদিকে রোববার এই বিষয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন, মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা-সিআইএ-র পরিচালক উইলিয়াম বার্নস।
সিবিএস নিউজের ‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বার্নস বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত চীনের নেতৃত্ব (রাশিয়াকে) মারণাস্ত্র দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তবে এবিষয়ে কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই আমরা জানতে পেরেছি। তাছাড়া, প্রকৃতপক্ষে কোনো সমরাস্ত্র চালান পাঠানোর ঘটনাও আমরা দেখিনি’।
এর আগে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক কমিটির চেয়ারম্যান ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাককল বলেন, মার্কিন গোয়েন্দাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ড্রোনসহ বিভিন্ন মারণাস্ত্র রাশিয়ায় পাঠানোর কথা ভাবছে বেইজিং।