ফিলিপাইনের মধ্যাঞ্চলে বৃহস্পতিবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৬.১। এতে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) একথা জানিয়েছে। খবর এএফপি’র।
খবরে বলা হয়, বুধবার দিবাগত মধ্যরাতের পর ২ টার দিকে এ দ্বীপ দেশের মধ্যাঞ্চলীয় মসবাত প্রদেশের একেবারে উপকূলে ভূপৃষ্ঠের স্বল্প গভীরে শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
ইউএসজিএস জানায়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মসবাতার উসম পৌরসভার উপকূলীয় মিয়াগা গ্রাম থেকে ১১ কিলোমিটার দূরে।
এদিকে ফিলিপাইনের ভূকম্পন সংস্থা জানায়, তারা প্রথম দফা ভূমিকম্পের পর ৮০টিরও বেশি মৃদু ভূমিকম্পন রেকর্ড করেছে।
মাসবাত প্রাদেশিক পুলিশ প্রধান রলি আলবান এএফপি’কে বলেছেন, ‘এটি ছিল একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প। তিনি বলেন,‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আর তখন আমরা ঝাঁকুনি অনুভব করি এবং জেগে উঠি।’ এ প্রদেশের তিনটি দ্বীপজুড়ে প্রায় ১০ লাখ মানুষ বসবাস করে।
মাসবাত প্রাদেশিক দুর্যোগ কর্মকর্তা আদোনিস দিলাও স্থানীয় মিডিয়াকে বলেন, ভূমিকম্পে মাসবাত নগরীর কিছু ভবনের দেয়ালে ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ভবনের মধ্যে প্রাদেশিক হাসপাতাল ভবনও রয়েছে। ভবন থেকে রোগীদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
উসন পুলিশ প্রধান ক্যাপ্টেন রেদান টোলাদো বলেন, ভূমিকম্পের ঘটনায় কিছু বাসিন্দা তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে গেছে।
তিনি বলেন, ‘এমনকি আমি নিজেও ভূমিকম্প পরবর্তী সম্ভাব্য কম্পনের কারণে বাসার বাইরে চলে এসেছি।’
দিমাসালাং পৌরসভার দুর্যোগ কর্মকর্তা গ্রিগোরিও আদিগু বলেন, প্রথম দফা ভূমিকম্পের প্রায় এক ঘণ্টা পর তিনি একটি শক্তিশালী কম্পন অনুভব করেন।
তবে তিনি বলেন, এতে এলাকার ভবনগুলোর ও অন্যান্য স্থাপনার কোন ক্ষতি লক্ষ্য করা যায়নি।
ফিলিপাইনের ভৌগলিক অবস্থান প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ারে’ হওয়ার কারণে দেশেটিতে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প আঘাত হানতে দেখা যায়।