দেশের সকল টেলিভিশন চ্যানেল এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি ম্যাসদুপুই আজ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। তথ্যমন্ত্রী এসময় রাষ্ট্রদূতকে একথা জানান।
ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, ‘আপনারা জানেন, বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট ফ্রান্সের কোম্পানি সরবরাহ করেছে এবং সেটি কেমন কাজ করছে জানতে চাওয়ায় আমি রাষ্ট্রদূতকে বলেছি যে, দেশের সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেল এখন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়। শুরুতে যে, ছোটখাটো কিছু সমস্যা ছিল, সেগুলো এখন নেই। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট খুব ভালো ‘পারফর্ম’ করছে। আমাদের সরকার দ্বিতীয় একটি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ফ্রান্সের পক্ষ থেকেও সেটির জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ফরাসি জাতি আর্ট-কালচারে উন্নত। আমরা বাঙালিরাও শিল্প-সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ জাতি। এ ক্ষেত্রে কিভাবে সহযোগিতা বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকায় ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট স্থাপনে ফরাসি সরকার সহায়তা করছে। চট্টগ্রামেও ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট নিয়ে সমীক্ষা হচ্ছে, সে ক্ষেত্রেও ফ্রান্স যুক্ত হতে পারে কি না সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
তিনি এ সময় দেশে ফরাসি সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘ফ্রান্স ডেভেলমেন্ট কো-অপারেশন বাংলাদেশে আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে, গত এক দশকে ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার তারা সহায়তা করেছে। সেই সহায়তার ৭০ শতাংশ ক্লাইমেট রিলেটেড হতে হয়। সেটি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আমরা যেহেতু জলবায়ু পরিবর্তনের অসহায় শিকার, সে জন্য সেখান থেকে কেমন সহায়তা হতে পারে এবং ফ্রান্সে আমাদের রপ্তানি কিভাবে বাড়ানো যায় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া সংবাদ, মিথ্যা সংবাদ, গুজব ছড়ানোর প্রতিকারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সেই চ্যালেঞ্জটা তারা ফ্রান্সে যেমন মোকাবিলা করছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোকাবিলা করছে, আমরাও এখানে মোকাবিলা করছি, এগুলো নিয়ে পরবর্তীতে আরো আলোচনা হবে।