You are here
Home > বিশ্ব > তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত পাচঁ শতাধিক; জরুরী অবস্থা জারি

তুরস্ক ও সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত পাচঁ শতাধিক; জরুরী অবস্থা জারি

তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে সোমবার ভোরে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাথমিকভাবে  ৫শ’রও বেশি লোকের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।

গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৭ দশমিক ৮ ভাগ। এটি স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া চারটার দিকে আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭ দশমিক ৯ কিলোমিটার গভীরে। এ সময়ে লোকজন ঘুমিয়ে ছিল। ধ্বংস্তÍুপের নীচের অনেক লোক চাপা পড়ে আছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। কতৃপক্ষ জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে।

ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে বহু সরকারি ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে। নিহতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িপ এরদোয়ান সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।

ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।

এদিকে সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের সরকার নিয়ন্ত্রিত অংশে ভূমিকম্পে অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসিপ তায়িফ এরদোগান ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, আশা করি আমরা একসাথে যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব কম ক্ষতির মধ্য দিয়ে এ দুর্যোগ কাঠিয়ে উঠতে পারবো।

উল্লেখ্য, তুরস্ক পৃথিবীর অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। দেশটিতে ১৯৯৯ সালে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজার লোক নিহত হয়।

Similar Articles

Leave a Reply

Top