সিরিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২৪৫ জন নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্রস্থল ছিল প্রতিবেশী দেশ তুরস্ক।
সরকারি সংবাদ মাধ্যম ও হাসপাতাল সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধ বিধ্বস্ত সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ২৩০ জনেরও বেশি নিহত ও ছয়শ জনেরও বেশি আহত হয়েছে। তুরস্কপন্থী দলগুলো দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় আরো আটজন নিহত হয়েছে।
সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে আলেপ্পো, লাটাকিয়া, হামা ও টারটাসে ৬৩৯ জন আহত এবং ২৩৭ জন নিহত হয়েছে।
উল্লেখ্য, তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গাজিয়ানতেপে সিরিয়া সীমান্তের কাছে শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।
গত এক শতাব্দীর মধ্যে এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের একটি। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮ভাগ। এটি স্থানীয় সময় সোমবার ভোর সোয়া চারটার দিকে এটি আঘাত হানে। গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে এর গভীরতা ছিল মাত্র ১৭.৯ কিলোমিটার গভীরে। এ সময়ে লোকজন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।
মার্কিন ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ কথা জানিয়েছে।
ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। ভেতরে অনেক লোক আটকা পড়ে আছে।
ভূম্পিকম্পটি রাজধানী আঙ্কারা এবং তুরস্কের অন্যান্য শহরেও অনুভূত হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট পুরো অঞ্চল জুড়েই কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সিরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থা ‘সানা’ জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় লাটাকিয়া উপকূল থেকে দামেস্ক পর্যন্ত কম্পন অনুভূত হয়েছে।
সিরিয়ার ন্যাশনাল আর্থকোয়েক সেন্টারের প্রধান রায়েদ আহমেদ বলেছেন, এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর এতো ভয়াবহ ভূমিকম্প আর ঘটেনি।
এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ভূমিকম্পে ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস,হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির এবং কিলিস।
লেবানন, সিরিয়া ও সাইপ্রাসেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।