ভোট চাইতে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিকদের হাতে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে এর জেরে লিটনের পক্ষের ও বিপক্ষের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হামলার ঘটনায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বন্দর এলাকা। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থী লিটনসহ ১০ জন আহত হন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে দফায় দফায় প্রতিবাদ মিছিল করেন বন্দরের শ্রমিক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।
এদিকে বন্দরের ৯২৫ শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রশিদ অভিযোগ করে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন আমাদের কাছে ভোট চাইলে তাকে বলি, নৌকার প্রার্থী ছাড়া কাউকে ভোট দেব না। তুমি আগে এ বন্দরে বোমা মেরেছো, শ্রমিকদের মেরে আহত করেছ, তাই তোমাকে ভোট দেব না। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে লিটন আমাকে চড়-থাবা মারতে থাকেন। এসময় অন্যান্য শ্রমিকরা এসে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যান।
এদিকে যশোর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম লিটন জানান, সকালে তিনি নেতাকর্মীদের নিয়ে বন্দরের শ্রমিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করতে যান। এসময় হঠাৎ বেনাপোল স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতা রশীদ ও রাজু সর্দার তাদের ওপর চড়াও হয়ে গালিগালাজ করতে থাকেন। এসময় প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয়। এতে তিনিসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নয়ন কুমার রাজবংশী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন শ্রমিককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া সবাইকে সুষ্ঠুভাবে প্রচারণা চালানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।
যশোর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় আচারণবিধি লঙ্ঘন হয়েছে, সেই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তবে এখন পরিবেশ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। এছাড়া দুই পক্ষকেই শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ বজায় রাখতে বলা হয়েছে।