দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে থেকে আমাদের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ২৯ ডিসেম্বর থেকে স্বসশস্ত্র বাহিনীসহ র্যাব, বিজিবি, পুলিশ এবং ব্যাটালিয়ান আনসারসহ সমন্বয়ে সবাই মাঠে থাকবে। যার যার উপজেলা, জেলা এবং নির্বাচনী আসনে থাকবে। তারা কম্বাইন্ড প্রেট্রোলিং করবে। সমগ্র এলাকায় তারা চষে বেড়াবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাসহ ভোট সুষ্ঠু হওয়ার জন্য যাযা করণীয় সকল নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এইবার সর্বোচ্চ ১৩ দিন অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। ভোটের পরবর্তীতে ও যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে সেইজন্য সর্বোচ্চ শক্তি নিয়োগ করেছি।
গতকাল রোববার সকাল এগারোটায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা / ব্যক্তিবর্গের সাথে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভা শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগের এনডিসি আবু আহমদ ছিদ্দিকী, সিলেট রেঞ্জ এর ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. রাসেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, বিজিবির পরিচালক মো. মাহবুবুর রহমান ও অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।
বিএনপি নির্বাচনে আসার আর কোনো সুযোগ আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসার আর কোনো সুযোগ নেই। প্রতীক বরাদ্দের আগ পর্যন্ত আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। তখন সুযোগও ছিল।
বিদেশি কোন চাপ আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার মো. আনিসুর রহমান বলেন, বিদেশি কোন চাপ নেই। বহু বিদেশি আমাদের কাছে এসেছে। আমরা কি করছি, কি প্রস্তুতি নিচ্ছি, তারা জেনেছে। তারা কোন রিএকশান জানায়নি। তাদের চাপে আমরা নেই। আমরা নিজস্ব চাপে আছি।
তিনি আরো বলেন, বিদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক পর্যবেক্ষক আসছে। দূতাবাস থেকে এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক, বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ বিদেশি সংস্থা থেকে আমাদের লিস্ট দিয়েছেন। এগুলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে। তাদেরকে ভিসা দেওয়া হবে।