শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। আজ শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
বৃহস্পতিবার ২৬ আগস্ট রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সভায় আরো কয়েকটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক মানদন্ড অনুযায়ী করোনা সংক্রমণের হার ৫ শতাংশ বা তার কম থাকলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া যাবে ।
সভায় উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হল- করোনার কারনে দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। ফলে শিক্ষার্থীরা বিশেষত শিশু-কিশোরেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না যেতে পারায় এবং বাড়িতে থাকতে বাধ্য হয়েছে। সমবয়সীদের সাথে মেশা ও অবাধে খেলাধুলা করার সুযোগ না পাওয়ায় তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর এর বিরূপ প্রতিক্রিয়াসহ সম্ভাব্য সকল নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টি সম্পর্কে সরকার সম্পূর্ণ সচেতন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় নির্দেশনা রয়েছে দ্রুততম সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার।
অন্যদিকে, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুল রিওপেনিং প্ল্যান চূড়ান্ত করে রেখেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে এই পরিকল্পনা যথাযথ বাস্তবায়ন এবং স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি মেনে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার বিষয়টি কার্যকরভাবে মনিটরিং এর আওতায় আনা হয়েছে।
এ সার্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ক্ষেত্রে কোভিড- ১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির পরামর্শ চাওয়া হবে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে একটি যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় যুক্ত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মো. মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী শহীদুল্লাহসহ সকল সদস্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব গোলাম মো: হাসিবুল আলম, সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সাত কলেজের অধ্যক্ষ, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক, সকল বোর্ডের চেয়ারম্যান, দুই মন্ত্রণালয়ের সকল অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কোভিড ১৯ বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা ও ডা. নাছিমা আখতারসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ।