You are here
Home > শিক্ষা > পরিমার্জিত নতুন শিক্ষা কার্যক্রম ২০২৩ সালে শুরু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

পরিমার্জিত নতুন শিক্ষা কার্যক্রম ২০২৩ সালে শুরু হচ্ছে : শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন, আগামী ২০২৩ সাল থেকে নতুন করে পরিমার্জিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে তিনি ‘প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনার জন্য খসড়া জাতীয় শিক্ষাক্রম’ রূপরেখা উপস্থাপন করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থাকে আনন্দদায়ক করতে সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে পরিবর্তন। এর আলোকে নবমশ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক কোন গ্রুপ থাকছে না। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট  (জেএসসি) পরীক্ষা থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকের চাপ কমাতে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। মুখস্ত বিদ্যার নির্ভরতা কমিয়ে তাদের অর্জিত শিখনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তাদের মনোÑদৈহিক বিকাশের জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীর খেলাধুলা ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে শিক্ষাদান করার পরিবেশ সৃষ্টিতে কার্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে।
নতুন  শিক্ষা কার্যক্রমে বাড়িতে বসে ‘হোম ওয়ার্ক’ এর চাপ নয়,শ্রেণিকক্ষেই যেন প্রাত্যহিক  পাঠদান সম্পন্ন হয়, সে বিষয়েও নজর দেয়া হয়েছে। কেননা  এর ফলে শিক্ষার্থীদের  খেলাধূলা ও সৃজনশীলতা কমে গেছে।
শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, প্রাক প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে অভিযোজনের জন্য জ্ঞান,দক্ষতা,মূল্যবোধ সঠিকভাবে গড়ে তুলতে নতুন  শিক্ষা কার্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকের ১০০, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ১০০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালে পাইলটিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। মাধ্যমিকের সঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরী মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ ও বছর শেষে  সামষ্টিক মূল্যায়ন  ৪০ শতাংশ। অন্যান্য বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ। নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৫০ শতাংশ। অন্যান্য বিষয়গুলোর শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ।
অন্যদিকে, উচ্চমাধ্যমিকের ক্ষেত্রে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির আবশ্যিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন ৩০ শতাংশ এবং সামষ্টিক মূল্যায়ন হবে ৭০ শতাংশে। প্রায়োগিক ও ঐচ্ছিক বিষয়ে শিখনকালীন মূল্যায়ন হবে শতভাগ। নৈর্বাচনিক, বিশেষায়িত কাঠামো, প্রকল্পভিত্তিক, ধারণা অনুযায়ী সামষ্টিক মূল্যায়নের পাশাপাশি প্রকল্পভিত্তিক ও ব্যবহারিক এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে শিখনকালীন মূল্যায়নের সুযোগ থাকবে।
নতুন প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা তৈরিতে এনসিটিবির পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top