স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শরিক দলকে সংসদ নির্বাচনে জয়ী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ওপর আওয়ামী লীগের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।
আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে মিন্টো রোডে মন্ত্রীর বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটের নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবার রেকর্ড সংখ্যক স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন এক হাজার ৯৬৪ জন। আর বাকি ৭৪৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। মোট প্রার্থীর ২৭ শতাংশই স্বতন্ত্র।
শুরুর দিকে আওয়ামী লীগ দুটি আসন ছাড়া ২৯৮ আসনে নৌকার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করে। সর্বশেষ গতকাল শরিকদের জন্য সাতটি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।
নৌকার টিকিট না পেয়ে আওয়ামী লীগের বর্তমান ৬০ জন সংসদ সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা দেন। এছাড়া দলটির আরও অনেক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ার করেছেন। এসব স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নিয়ে ক্ষমতাসীন দলটির ভেতরেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। দলের মনোনয়ন পাওয়া অনেকেই চান স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বসিয়ে দেওয়া হোক।
এছাড়া এসব স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৪-দলীয় জোট ও মিত্রদের জন্যও মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করেন নির্বাচন দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য করার ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ভূমিকা রাখবেন।
শুক্রবার এ বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিক দলকে যে ৭টি আসন দেওয়া হয়েছে তা তাদের যোগ্যতা বিচার করে দেওয়া হয়েছে। আর যাদের দেওয়া হয়নি ভোটের মাঠে তাদের অবস্থা ভালো নয় বলে দেওয়া হয়নি। তবে যেসব আসন শরিক দল রয়েছে সেখানে স্বতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে জিতে আসতে হবে।
জাতীয় পার্টি নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, জাতীয় পার্টি সবসময় আওয়ামী লীগের সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। তারা অগ্নিসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে। তারা আলাদা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তাদের সঙ্গেও সমঝোতা হবে।
জাতিসংঘের আহ্বান বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে গেছে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্ভয়ে ভোটদানে জাতিসংঘের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি বিএনপি-জামায়াত, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, এটি একটি ভালো স্টেটমেন্ট। জাতিসংঘের এ স্টেটমেন্টকে আমরা স্বাগত জানাই। কারা ভোটদানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন। বিএনপি-জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে তারা ভোট প্রতিহত করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে মানুষ না যায়, সেজন্য তারা ভীতিসঞ্চার করছে, গাড়ি পোড়াচ্ছে, রেললাইন খুলে ফেলছে। সুতরাং আমি মনে করি এই বিবৃতি তাদের বিরুদ্ধে গেছে। কারণ এই বিবৃতি যারা ভোটকে প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে।