মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ১৫ আগস্ট ও ৭ নভেম্বরের হত্যাকান্ড একই সূত্রে গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করতেই ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয় ।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, বীরবিক্রম এর শাহদতবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মরণে তুমি: ৭ নভেম্বর হারিয়েছি আমরা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিরা বুঝতে পেরেছিল বঙ্গবন্ধুর রক্তের কিংবা আদর্শের উত্তরাধিকার বেচেঁ থাকলে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি আবার তাদেরকে ঘিরে সংগঠিত হবে। এজন্য বঙ্গবন্ধুর খুনিরাই ৭ নভেম্বর দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে। তিনি বলেন, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে অনেকেই বঙ্গবন্ধুর খুনিদের সাথে আঁতাত করে। কিন্তু ৭ নভেম্বরে হত্যাকান্ডের শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হতে বিচ্যুত হননি।
মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসন আমলে ১৯ বার ক্যু চেষ্টা হয়। কিন্তু প্রতিবার প্রহসনের বিচারে বেছে বেছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়।
বক্তৃতাকালে মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা রক্ষায় ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ সালে শহীদ মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম, লে. কর্নেল এটিএম হায়দার বীর উত্তম এবং কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, বীরবিক্রমসহ সকল শহীদের অবদান কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন।
শহীদ কর্নেল খন্দকার নাজমুল হুদা, বীরবিক্রম এর কন্যা সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খানমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব) তাজুল ইসলাম , সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর , জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ, লেঃ জেনারেল (অব) হারুন অর রশীদ বীর প্রতীক, সংসদ সদস্য সূবর্ণা মোস্তফা, শহীদ বুদ্ধিজীবী সন্তান ডাঃ নুজহাত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।