শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্প্রসারণে পণ্যের এবং সেবার মান ও গ্রহণযোগ্যতার জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভে এ্যাক্রেডিটেশনের কোনো বিকল্প নেই।
তিনি দেশীয় ল্যাবরেটরিগুলোতে আধুনিক যন্ত্রপাতির সংযোজনের মাধ্যমে পণ্যের সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিতকরনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, পণ্যের মান ও গ্রহণযোগ্যতাই ভোক্তাদের মনে আস্থা তৈরি করে, যার মাধ্যমে বিকশিত হয় বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ।
স্থানীয় পণ্য ও সেবা রপ্তানি সম্প্রসারণে আন্তর্জাতিক সনদ সংস্থাগুলোর সাথে দেশীয় সংস্থার সমন্বয় খুবই জরুরী এ কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ লক্ষ্যে সরকার একটি কার্যকরী এ্যাক্রেডিটেশন অবকাঠামো ইকো-সিস্টেম নির্মাণে বদ্ধ পরিকর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার একটি মান নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
তিনি আজ রোববার রাজধানীর মতিঝিলস্থ ঢাকা চেম্বারের অডিটোরিয়ামে ‘এ্যাক্রেডিটেশন: টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং পরিবেশ সংরক্ষণে সহায়তা করে’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস-২০২২ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। উল্লেখ্য, গত ৯ জুন ছিল বিশ্ব এ্যাক্রেডিটেশন দিবস।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা ও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন। বিএবি’র মহাপরিচালক মো: মনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ ইমদাদুল হক।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, সনদ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মান ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণে কার্যকরী ভূমিকা রাখা সম্ভব। এলক্ষ্যে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশের স্থানীয় সনদের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্য অর্জনে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার নিশ্চিতকরনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে মন্ত্রী বলেন, এসডিজি’র লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এ্যাক্রেডিটেশনের ভূমিকা অপরিসীম।
শিল্প সচিব বলেন, অপরিকল্পিত শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির কারণে বৈশ্বিক জলবায়ুতে নেতিবাচক প্রভাব পরিলক্ষিত হচেছ যা বাংলাদেশেও প্রতীয়মান। তিনি পণ্য ও সেবার গুণগতমান নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিল্প উদ্যোক্তাসহ সকলের আরো সচেতন হওয়ার আহবান জানান।
জাকিয়া সুলতানা বলেন, রপ্তানি-বাজার সম্প্রসারণে পণ্যের আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিতকরন ও যথাযথ অবকাঠামোর কোন বিকল্প নেই। তিনি জানান, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এ্যাক্রেডিটেশন কে ‘ই-পার্সপোট’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে।
শিল্প সচিব বলেন, দেশীয় পণ্যের এ্যাক্রেডিটেশন নিজ দেশেই সম্পন্ন করা সম্ভব হলে রপ্তানি সম্প্রসারণের পাশাপাশি সময় ও ব্যয় দুটোই হ্রাস করা সম্ভব।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, দেশীয় শিল্প পণ্য ও সেবার মান উন্নয়ন, ভোক্তা অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিধি সম্প্রসারণে এ্যাক্রেডিটেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি দেশীয় টেস্টিং ল্যাবরেটরিগুলোর সনদের আন্তর্জাতিক গ্রণযোগ্যতা অর্জনের আহবান জানান।