ডি-৮ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডি-৮সিসিআই) প্রতিষ্ঠার রজত জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে আগামী ২৬ ও ২৭ জুলাই ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘ডি-৮সিসিআই বিজনেস ফোরাম অ্যান্ড এক্সপো ২০২২’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সম্মেলনে ডি-৮ সিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানসূচি এবং আসন্ন আয়োজন থেকে প্রত্যাশা নিয়েও আলোচনা করেন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডি-৮ সিসিআই সেক্রেটারি জেনারেল আশরাফুল হক চৌধুরী এবং এফবিসিসিআই পরিচালক সুজীব রঞ্জন দাশ।
এই বছরের ফোরামে বাংলাদেশ ও অন্য ৭টি সদস্য দেশ মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান এবং তুরস্কের মধ্যকার ‘ভ্যালু চেইন’-এর ব্যাপক পরিসরের ৬টি ক্ষেত্রের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হবে। ক্ষেত্রগুলো হলো: পণ্যসামগ্রী যেমন- খনিজ ও জ্বালানিশক্তি, শ্রম-নির্ভর পণ্য যেমন- বস্ত্র,পোশাক, হালকা প্রকৌশল ও চামড়াজাত পণ্য, শ্রম-নির্ভর সেব যেমন- পরিবহন, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন, অঞ্চল-ভিত্তিক প্রক্রিয়াকরণ যেমন- কৃষি, জলজ-সম্পদ, পশু সম্পদ, জ্ঞান-ভিত্তিক পণ্য যেমন- ইলেকট্রনিক্স উপাদান, সেমিকন্ডাক্টর, সাইবার নিরাপত্তা সরঞ্জাম উপাদান, লজিস্টিকস ও পরিবহন সরঞ্জাম এবং জ্ঞান-ভিত্তিক সেবা যেমন- আইসিটিতে পেশাদার সেবা, অর্থনৈতিকখাতে প্রযুক্তি সক্ষম করা, ৪ আইআর, রোবোটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই, আইওটি, সাইবার সিকিউরিটিজ, দক্ষতা, গবেষণা ও উন্নয়ন।
এছাড়া ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ইন্টারনেট অব থিংস, ডেটা অ্যানালিটিক্স, কাজের ভবিষ্যত এবং প্রয়োগ-ভিত্তিক দক্ষতা ইত্যাদির মধ্যে ডি-৮-এর অংশীদারিত্ব নিয়েও ফোরামে আলোচনা করা হবে। ভ্যালু চেইন ইন্টিগ্রেশনে আলোচ্য ক্ষেত্র হিসেবে আরও থাকবে: হালাল অর্থনীতি, ব্লু ইকোনমি, সাইবার নিরাপত্তা,রোবোটিক্স,স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম,যুব-নারী ক্ষমতায়ন ও এমএসএমই, এডটেক, এগ্রিটেক, হেলথটেক, পণ্যেরমান ও সমন্বয়, ক্রস কারেন্সি সোয়াপ, বার্টার সিস্টেম এবং ব্লক চেইন।
কোভিড-১৯ মহামারির ফলে সৃষ্ট অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা ও ঝুঁকি মোকাবেলায় এবং বৈশ্বিক উন্নয়নে সাড়া প্রদানের অংশ হিসেবে কৃষিখাত, উৎপাদন খাত, টারশিয়ারি ও কোয়াটার্নারি খাত জুড়ে ভ্যালু চেইন ইন্টিগ্রেশনের ক্ষেত্রে পিটিএ অনুমোদন ও সম্পৃক্ততার জন্য ডি-৮ সিসিআই একটি কৌশলগত রোডম্যাপ গঠনে কাজ করছে। অনুষ্ঠানের প্রথম দিন সাধারণ পরিষদে সম্ভাব্য রোডম্যাপ ও এর কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা এবং দ্বিতীয় ডি-৮ মিনিস্ট্রিয়াল পর্যায়ে তা উপস্থাপন করা হবে। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব দেওয়া হবে।
দুইদিনব্যাপি অনুষ্ঠিতব্য এই আয়োজনে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের চেম্বারস অব কমার্সের সভাপতিবৃন্দ, প্রতিনিধি দল, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।