সুদানের বেসামরিক প্রধানমন্ত্রী আবদাল্লা হামদক রোববার পদত্যাগ করেছেন।
অভ্যুত্থানের ২ মাসেরও বেশি সময় পর এবং সামরিক বাহিনীর সাথে বিতর্কিত একটি চুক্তি করে ক্ষমতায় ফেরার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তাকে পদত্যাগ করতে হলো। তার পদত্যাগের ফলে সুদান এখন সামরিক বাহিনীর দৃঢ় নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে হামদকের পদত্যাগ সত্তে¦ও অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ও বেসামরিক রাজনৈতিক শাসনের দাবিতে তীব্র প্রতিবাদ- বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে।
রোববার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে হামদক বলেন, দেশকে দুর্যোগের দিকে না ঠেলে দেয়ার প্রানপণ চেষ্টা আমি করেছি।
তিনি বলেন, দেশ এমন এক বিপদজ্জনক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে যাতে এর অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
সুদানে সেনাবাহিনী অক্টোবরে ক্ষমতা দখল করে হামদককে গৃহবন্ধী করেছিল। কিন্তু অভ্যুত্থানের নেতাদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির একটি চুক্তি করে পদ ফিরে পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভকারীরা এই চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ অব্যাহত রাখে। প্রতিবাদকালে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে সুদানের দীর্ঘদিনের শাসক ওমর আল বশির ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন।
এর পর সামরিক ও বেসামরিক নেতারা ক্ষমতা ভাগাভাগি করে দেশ চালাতে থাকেন। কিন্তু গত ২৫ অক্টোবর সামরিক নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান সেনা অভ্যুত্থান ঘটালে দেশ মহাসংকটে পড়ে।
এরপর থেকে সুদানে অভ্যুত্থান বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়,যা রোববারও চলমান রয়েছে।
গণতন্ত্রী পন্থী ডক্টর্স কমিটি বলছে, বিক্ষোভকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত তিনজন প্রাণ হারিয়েছে। বিক্ষোভ শুরুর পর এ পর্যন্ত অন্তত ৫৭ জন নিহত হয়েছে।
এদিকে বিশ্লেষকরা এ বিক্ষোভকে শ্রম ও সময়ের অপচয় হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, এতে কোন রাজনৈতিক সমাধান আসবে না।
তবে বিক্ষোভকারীরা বলেছেন, ২০২২ সাল হবে প্রতিরোধের ধারাবাহিকতার বছর।