রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন এক ঘোষণায় বলেছেন, তার পরমাণু বাহিনী সতর্কাবস্থায় রয়েছে।
এ ঘোষণার তীব্র সমালোচনা করছে পশ্চিমা বিশ্ব।
এদিকে সোমবার ইউক্রেনে রুশ সেনারা প্রচন্ড প্রতিরোধের মুখে পড়েছে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার সংকট নিয়ে আলোচনা করতে ব্যতিক্রমী এক জরুরি বৈঠকে বসতে যাচ্ছে।
এছাড়া প্রতিবেশী বেলারুশে যুদ্ধরত উভয় পক্ষের বৈঠকে অংশ নিতে ইউক্রেন প্রতিনিধি পাঠাতে সম্মত হয়েছে। যুদ্ধ শুরুর পর এটি হবে দুপক্ষের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য যোগাযোগ।
যদিও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি এ আলোচনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে উভয়পক্ষে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, পশ্চিমা অস্ত্রশস্ত্রের সহযোগিতা পেয়ে ইউক্রেন বাহিনী রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
এদিকে পুতিন রোববার রাশিয়ার পরমাণু বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। পশ্চিমাদের অবন্ধুসুলভ আচরণের জবাবে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান।
উল্লেখ্য, রাশিয়া বিশ্বের বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের দেশ। এর রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পরমাণু অস্ত্রের দেশ যুক্তরাষ্ট্র পুতিনের এ নির্দেশের তীব্র নিন্দা জানিয়ে একে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বলে বর্ণনা করেছে।
জার্মানী বলছে, পুতিনের অভিযান পরিকল্পনা মতো না এগুনোয় এবং প্রতিরোধের মুখে পড়ায় এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে আক্রমণ শুরুর চতুর্থ দিনে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ থেকে রুশ সেনাদের হটিয়ে দেয়ার দাবি করেছে ইউক্রেন বাহিনী।
আঞ্চলিক কর্মকর্তা ওলেগ সিনেগুবভ বলেছেন, খারকিভ ইউক্রেনীয় বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রুশ বাহিনীকে বিতাড়িত করা হয়েছে।
তবে মস্কো দাবি করেছে তারা দক্ষিণাঞ্চলের খেরসন ও বারডিয়ানস্কের নিয়স্ত্রণ নিতে পেরেছে।
ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা বিভিন্ন স্থানে রুশ বাহিনীর মোকাবেলা করে যাচ্ছেন।
এ পর্যন্ত চার হাজার তিন’শ রুশ সেনা নিহত হয়েছে বলে তারা দাবি করেছেন।