পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ‘খুব সম্ভাবত’ তাদের দেশে আঘাত হেনেছে। এ ঘটনার পর দেশটি মঙ্গলবার তাদের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে। খবর এএফপি’র।
পশ্চিমা নেতারা ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক উত্তেজনার ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে একত্রিত হচ্ছেন। এক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার তাদের ‘জরুরি গোলটেবিল’ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
ওয়ারস জানায়, এ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় প্রজিউওদো গ্রামে দুজন নিহত হয়েছে। তবে সেখানে কারা এ হামলা চালিয়েছে তার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
তারা আরো জানায়, এ ঘটনার পর ‘তাৎক্ষণিক বিস্তারিত ব্যাখ্যা’ দিতে মস্কোর রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
গ্রামটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক জরুরি বৈঠকের পর পোল্যান্ড তাদের দেশের সামরিক বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রেখেছে।
ওয়ারস-এ বৈঠকের পর মুখপাত্র পিওটর মুলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেখানে আলোচনায় কিছু কমব্যাট ইউনিট এবং সরকারি উর্দি পরিহিত অন্যান্য বাহিনীকে প্রস্তুত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কি ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে তার বিস্তারিত জানতে আমাদের বিভিন্ন বাহিনী সেখানে রয়েছে।
এদিকে হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পোলিশ প্রেসিডেন্ট আন্দরজাজ দুদার সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এবং এ ব্যাপারে পোল্যান্ডের তদন্তের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ও সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
হোয়াইট হাউস আরো জানায়, দুই নেতা তদন্তের অংশ হিসেবে পরবর্তী যথাযথ পদক্ষেপ নির্ধারণে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে সম্মত হন।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক, জার্মান চ্যান্সেলর ওলফ স্কলজ ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ পোল্যান্ডের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন। তারা সকলেই ন্যাটোর সদস্য দেশের নেতা। পোল্যান্ড প্রতিরক্ষার ব্যাপারে ন্যাটোর প্রতিশ্রুতি দ্বারা সুরক্ষিত।
বাইডেন পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ব্যাপারে ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গের সাথেও কথা বলেছেন। এ জোটের রাষ্ট্রদূতদের বুধবার জরুরি বৈঠকে বসার কথা রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রধান চার্লস মিশেল বলেন, তিনি এ ঘটনায় ‘স্তম্ভিত’। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিনকেন ‘তদন্ত প্রক্রিয়ার এবং আমাদের পরবর্তী যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের অংশ হিসেবে আগামী দিনগুলোতে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুদি দেন।
এরআগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পোল্যান্ডে রাশিয়ার দুটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার কথা জানিয়েছিলেন।