You are here
Home > বিশ্ব > ভারতে করোনা আতঙ্ক, একাধিক রাজ্যে সর্তকতা

ভারতে করোনা আতঙ্ক, একাধিক রাজ্যে সর্তকতা

ভারতে নতুন করে চোখ রাঙাচ্ছে কোভিড-১৯ আতঙ্ক। নতুন বছর শুরুর আগেই এই ভাইরাস যথেষ্ঠ উদ্বেগ বাড়িয়েছে গোটা দেশে।

বৃহস্পতিবার সকালে প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৫৮টি নতুন সংক্রমণ রেকর্ড হয়েছে। সব মিলিয়ে গত কয়েকদিনে অ্যাক্টিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৬৬৯টি।

গত তিনদিন আগে দক্ষিণ ভারতের রাজ্য কেরলে করোনার নতুন উপ-প্রজাতি জেএন-১ (Sub Variant JN-1) এর হঠাৎ সন্ধানের পরই দেশ জুড়ে করোনা সংক্রমণের এই বাড়বাড়ন্ত।

গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসে কেরলে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। ফলে সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত গোটা ভারতে করোনায় আক্রান্ত মৃত্যু হয়েছে ৫,৩৩,৩২৭ জনের। একই সাথে কেরল, কর্ণাটক, গুজরাট, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনায় আক্রান্তের খবর মিলছে।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৪,৪৪,৭০,৫৬৭ জন, সেক্ষেত্রে সুস্থ হওয়ার হার শতকরা ৯৮.৮১ শতাংশ।

নীতি আয়োগের সদস্য স্বাস্থ্য ড. ভিকে পাল জানিয়েছেন, গোটা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনার নতুন এই উপপ্রজাতির ২১টি কেস পাওয়া গেছে। যদিও এই নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলেও জানান তিনি।

এই পরিস্থিতিতে বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। ওই বৈঠকে কোভিড-১৯ এর এই নতুন এবং উদীয়মান উপ-প্রজাতির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা এবং প্রস্তুত থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

করোনা মোকাবিলায় প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে একজোট হয়ে কাজ করার বার্তাও দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে প্রত্যেক তিন মাস অন্তর মক ড্রিল করা এবং সেরা জিনিসগুলি নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করাটা খুব জরুরী।

এই বৈঠকে করোনা মোকাবিলায় প্রতিটি হাসপাতাল কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজ্যগুলির উদ্দেশ্যে আরও বেশি করে টেস্টিং ও নজরদারির নির্দেশিকা দিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা পেয়েই আগাম সর্তকতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সহ বেশ কিছু রাজ্য সরকারও।

কেন্দ্রের ওই বৈঠকের পরই বুধবার রাতেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও স্বাস্থ্য সচিব নিজেদের মধ্যে আলোচনা বসেন।

সূত্রের খবর ওই বৈঠকে করোনা আক্রান্তদের উপরে বিশেষ নজর রাখার পাশাপাশি আরটি-পিসিআর টেস্ট করার উপরেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি কলকাতা ও জেলা হাসপাতালগুলিতে করোনা রোগীদের জন্য বেড নির্দিষ্ট করে রাখা, পজিটিভ হলেই রোগীর নমুনা সিকোয়েন্সিং’এ পাঠানো সহ একাধিক নির্দেশিকা হাসপাতাল গুলিকে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল এবং এম.আর.বাঙ্গুর হাসপাতালে আইসিইউ সহ কিছু বেড করোনা রোগীদের জন্য রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও খবর।

Similar Articles

Leave a Reply

Top