বলিউডের কিংবদন্তিতূল্য কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
উপমহাদেশের সংগীতের এই প্রবীণ মহাতারকার জীবনের অবসান হলো ৯২ বছর বয়সে।
রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মধ্য মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের পাশপাশি এ খবর নিশ্চিত করেছেন ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানামাও।
লতা মঙ্গেশকর জানুয়ারি মাসের শুরুতে করোনায় আক্রান্ত হন। তখন থেকেই ভর্তি ছিলেন মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের আইসিইউতে। একসময় কোভিড নেগেটিভ হলেও পরে নিউমোনিয়া ধরা পড়ে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন। সম্প্রতি প্রবাদপ্রতিম এই গায়িকার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হওয়ায় ভেন্টিলেশন সাপোর্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। আশার আলো দেখছিলেন চিকিৎসকেরাও। তবে শনিবার লতা মঙ্গেশকরের শারীরিক পরিস্থিতির আবারও অবনতি হয়। শেষ পর্যন্ত সব চেষ্টা ব্যর্থ করে পরলোকে চলে যান কিংবদন্তিতুল্য এ শিল্পী।
সাত দশক ধরে দর্শক ও সমালোচক হৃদয় তৃপ্ত করে চলা সংগীতের এই মহাতারকা ১৯২৯ সালে ভারতের ইন্দোরে জন্মেছিলেন। কিন্তু তাঁর সংগীত ভারত ছাপিয়ে তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে বিশ্বসংগীতের দরবারে।
লতা মঙ্গেশকর ২০০১ সালে ভারতের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ভারতরতœ অর্জন করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার লাভ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
টুইটারে তিনি বলেন, ‘আমি শোকে স্তব্ধ। দয়ালু ও যতœশীল লতা দিদি আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। তিনি জাতির জন্য যে শূন্যতা রেখে গেছেন তা পূরণ হবার নয়।’