ইসলামাবাদ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি) ও উপ মহাপরিদর্শককে (ডিআইজি) হুমকি দিয়ে মামলার মুখে পড়া পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আগাম জামিনের মেয়াদ আরও এক দফা বেড়েছে।
ইমরান খানের আইনজীবী বাবর আওয়ান’র বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইসলামাবাদের একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত ইমরান খানের আগাম জামিনের মেয়াদ আগামী ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন।
রয়টার্সকে তিনি বলেন, আদালত তার জামিনের মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করেছেন, সেই সঙ্গে কিছু শর্তও দিয়েছেন। জামিন টিকিয়ে রাখতে হলে সেসব শর্ত তাকে মেনে চলতে হবে। তবে আদালত কী কী শর্ত দিয়েছেন, সে সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে চাননি আওয়ান।
১ সেপ্টেম্বর আদালত থেকে তৃতীয় দফায় জামিন নিয়েছিলেন ইমরান খান। সে সময় ১২ দিনের জামিন মঞ্জুরের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত।
আদেশে বলা হয়েছিল, জামিন থাকাকালে যদি জামিনের শর্তবিরোধী কোনো কাজ করেন ইমরান, সেক্ষেত্রে তা বাতিল করা হবে। শনিবার ছিল সেই মেয়াদের শেষ দিন। বিগত অন্যান্যবারের মতো এদিনও আদালতে জামিন আবেদনের শুনানির সময় পিটিআই চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
গত ১০ এপ্রিল পাকিস্তানের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে দেশটির শাসনক্ষমতার প্রভাবশালী অংশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়ে গ্রেপ্তার হন ইমরান খানের ঘনিষ্ট সহকারি ও পিটিআইয়ের জেষ্ঠ্য নেতা শাহবাজ গিল।
শাহবাজের মুক্তির দাবিতে ব্যাপকভাবে সরব হন পিটিআই চেয়ারম্যান। গত ২১ আগস্ট এক দলীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইমরান মন্তব্য করেন, যদি অবিলম্বে শাহবাজের ওপর থেকে মামলা প্রত্যাহার ও তাকে মুক্তি দেয়া না হয়, তাহলে ইসলামাবাদ পুলিশের আইজি, ডিআইজি ও যে আদালতে শাহবাজের বিচার চলছে, তার বিচারক জেবা চৌধরীকে দেখে নেবেন তিনি।
এই বক্তব্য দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাস ও সরকারের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে মামলা হয় ইমরান খানের বিরুদ্ধে। মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে পরের দিন ২২ আগস্ট ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন পিটিআইয়ের দুই আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী ও বাবর আওয়ান।
সেই আবেদন মঞ্জুর ইমরান খানকে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দেন আদালত। সেই জামিনের শেষ দিন ২৫ আগস্ট ফের আগাম জামিনের আবেদন করেন ইমরানের আইনজীবীরা, এবং ওই দিন জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয় ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
আগামী বছর পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জিততে দেশজুড়ে ব্যাপক রাজনৈতিক তৎপরতা, মিছিল-সমাবেশ করছেন ইমরান খান, চলতি বছর ১০ এপ্রিল পার্লামেন্টে বিরোধীদের অনাস্থা ভোটে হারিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পদ।