You are here
Home > খেলাধুলা > ফুটবল বিশ্বকাপ: ট্রফি চলে এসেছে কাতারে, আসতে শুরু করেছে দল-সমর্থকরা

ফুটবল বিশ্বকাপ: ট্রফি চলে এসেছে কাতারে, আসতে শুরু করেছে দল-সমর্থকরা

বিশ্বকাপ শুরু হতে এক সপ্তাহেরও কম সময় বাকি, এরই মধ্যে কাতারে ফিরেছে বহুল আকাঙ্খিত বিশ্বকাপ ট্রফি। অংশগ্রহণকরী দল এবং তাদের সমর্থকরাও একে একে কাতারে আসতে শুরু করেছে। বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বিতর্কিত স্বাগতিক হিসেবে কাতারের দিকে চোখ এখন পুরো বিশে^র, বর্ণিল রঙে সুসজ্জিত পুরো দোহায় এখন শুধুমাত্র বল মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। ইতোমধ্যেই কাতারের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যথাসম্ভব জোড়দার করা হয়েছে।

আগামী ১৮ ডিসেম্বর বিশ^ সেরা দলটির হাতে যে ট্রফি তুলে দেয়া হবে তা বিশে^র বিভিন্ন দেশ ঘুড়ে আবারো কাতারে ফিরেছে। রোববার কাতার বনাম ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচের মধ্যে দিয়ে ৩২টি দেশ এই ট্রফির জন্য মাঠের লড়াইয়ে নামবে।

কাতার বিশ^কাপকে ঘিড়ে মাঠের বাইরে সবচেয়ে বেশী যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা হলো অভিবাসী শ্রমিকদের প্রতি অন্যায় আচরন। কিছু কিছু পশ্চিমা দেশ প্রথম থেকেই এই বিষয়টি নিয়ে সরব ছিল, এরপর তার সাথে যুক্ত হয় বিশ^কাপে অংশ নেয়া আরো কিছু দেশ। সব কিছুর বিবেচনায় ফিফা অবশ্য কিছুদিন আগে সব দেশকে পিছনে না তাকিয়ে শুধুমাত্র ফুটবলের প্রতি গুরুত্ব দেবার আহবান জানায়।

বিশে^র বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের প্রিয় দলকে সমর্থন করতে কাতারে ইতোমধ্যেই সমর্থকদেওর সমাগম লক্ষ্য করা গেছে। ইকুয়েডরের এমনই এক সমর্থক রিনগো গঞ্জালেজ বলেছেন, ‘আমরা অনেকেই নিজ দলকে সমর্থন করতে এখানে এসেছি, এটা সত্যি অন্যরকম এক অনুভূতি। আমি চাই এবারের আসরে ইকুয়েডর ভাল খেলুক। সাথে সাথে লিওনেল মেসির মত যেসব তারকা আছে তারাও যেন ভাল খেলা উপহার দিতে পারে।’

প্রথম দল হিসেবে ইতোমধ্যেই দোহায় এসে পৌঁছেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের পরে কাতারে পা রাখে অস্ট্রেলিয়া। আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ হিসেবে ২০১০ সালে বিশ^কাপ আয়োজনে স্বাগতিক হবার স্বত্ব  লাভ করে কাতার। 

গতকাল রোববার ইউরোপীয়ান ক্লাবগুলো বিশ^কাপের আগে তাদের ঘরোয়া মৌসুমের সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে। এরপরই খেলোয়াড়রা তাদের জাতীয় দলের সাথে যোগ দিবেন। 

দোহায় এমএসসি ইউরোপা নামে নব নির্মিত বিশাল আকৃতির ক্রুস শিপটি রোববার থেকে চালু হয়েছে। বিশ^কাপের হাজারো সমর্থককে  স্বাগত জানাতে জাহাজটি পুরোপুরি প্রস্তুত। প্রায় ১০ হাজার সমর্থককে কাতারে নিয়ে আসার জন্য তিনটি জাহাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২৯ দিনের এই টুর্নামেন্টে প্রথম দুই সপ্তাহের জন্য ইউরোপা পুরোপুরি বুকিং হয়ে গেছে।

বিশাল এই ক্রীড়াযজ্ঞকে সামনে রেখে দোহার রাস্তাগুলোতে ইতোমধ্যেই ব্যারিয়ার দেয়া হয়েছে, মেট্রো স্টেশন ও স্টেডিয়ামগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়ালো করা হয়েছে।

আয়াজকরা জানিয়েছেন ৩.১ মিলিয়ন টিকিটের মধ্যে ২.৯ মিলিয়ন টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এখনো ফিফার টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রগুলোতে হাজারো সমর্থকদের ভিড় প্রতিদিনই বাড়ছে। দোহার বসবাসকারী অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক ম্যাথিও কোলম্যান ও তার ডাচ বন্ধু গিগস বেনকার পছন্দমত ম্যাচের টিকিট না পেয়ে খালি হাতেই ফিরে গেছেন।

বিশ^কাপের অফিসিয়াল স্যুভেনির’র  দোকানগুলোতে ইউরোপীয়ানরা মূলত বিশ^কাপের অফিসিয়াল বল ও মাস্কট কেনার প্রতি বেশী আগ্রহ দেখাচ্ছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top