ইউক্রেন বিষয়ে পশ্চিমা শাস্তির হুমকির মুখে থাকা রাশিয়া এবং চীন সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থন ছাড়া দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে “একতরফা” বলে অভিহিত করেছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার উপ-রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি বলেছেন, “শুধু নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা বৈধ।” এধরণের অবরোধ “বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রতিক্রিয়ার জন্য একটি হাতিয়ার।”
ইউক্রেনের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে পলিয়ানস্কি বলেন, আক্রমনের পরিকল্পনা করছে এমন অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে “একতরফা” পদক্ষেপের তিনি নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, এতে শান্তি প্রচেষ্টা ব্যহত হয়, এভাবে তারা সিরিয়া, বেলারুশ, কিউবা, ভেনিজুয়েলা, ইরান, আফগানিস্তান, বার্মা এবং মালির মতো দেশগুলোর সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ করে।
জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ঝাং জুন বলেন, “জোরপূর্বক একতরফা নিষেধাজ্ঞা উদ্বেগের একটি বড় কারণ।
বেইজিংয়ের মিত্র উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে ঝাং বলেন, অবরোধের কারণে “সেখানে গুরুতর মানবিক বিপর্যয় হয়েছে।”
তবে জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড জোর দিয়ে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জন্য দেশটি নিজেই দায়ী।
থমাস গ্রিনফিল্ড বলেন, উত্তর কোরিয়ায় মানবিক সহায়তা পাঠানোর ক্ষেত্রে এক নন্বর বাধা হলো দেশটির স্ব-আরোপিত সীমান্ত বন্ধ করা, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা নয়।
উত্তর কোরিয়া একটি স্ব-আরোপিত করোনাভাইরাস অবরোধের অধীনে বসবাস করছে- যা দেশটির পারমাণবিক কর্মসূচির জন্য যে কোন আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার চেয়ে ব্যাপক।