নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কাদুনা রাজ্যের একটি গ্রামে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ হামলায় অন্তত ৮৫ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রোববার রাতে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলায় বেসামরিক নাগরিকের প্রাণহানির ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু।
দেশটির জাতীয় জরুরি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সংস্থা ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে বলেছে, উত্তরপশ্চিমালীয় জোনাল অফিস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সেনাবাহিনীর ড্রোন হামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেয়েছে। তারা এখন পর্যন্ত ৮৫ জনের মরদেহ দাফন করেছে। হামলায় নিখোঁজদের সন্ধানে এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এর আগে, সোমবার দেশটির সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়, কাদুনা রাজ্যের একটি গ্রামে মুসলিমদের উৎসব উদযাপনের সময় জড়ো হওয়া লোকজনের ওপর সামরিক বাহিনীর ড্রোন ভুলবশত আঘাত হেনেছে।
সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে ড্রোন হামলায় হতাহতদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, ওই হামলায় কমপক্ষে ৮৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
রাজ্যের গভর্নর, একজন ধর্মীয় নেতা এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রোববার (৩ ডিসেম্বর) রাতে বিদ্রোহী এবং দস্যুদের লক্ষ্য করে সামরিক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এ সময় একটি ড্রোন ভুলবশত মুসলিমদের ওপর আঘাত হানায় সেখানে কয়েক ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান কপ-২৮ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, তুন্দুন বিরির গ্রামে ‘বোমা হামলার ঘটনা’ অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক, বিরক্তিকর এবং বেদনাদায়ক।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের মুখপাত্র এনগেলালে বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ড্রোন হামলার ঘটনায় পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’