দক্ষিণ কোরিয়ার উপকূলে নোঙর করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী কার্ল ভিনসন। মঙ্গলবার যুদ্ধজাহাজটি বুসান বন্দরে ভিড়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির নৌবাহিনী।
উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি হিসেবে কার্ল ভিনসনের দৃশ্যপটে আগমন বলে জানিয়েছে সিউল।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক কার্যক্রমে নজরদারি চালানোর জন্য মহাকাশে সামরিক স্যাটেলাইট স্থাপনের চেষ্টা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। চলতি বছরের শুরুতে কক্ষপথে সামরিক গোয়েন্দা স্যাটেলাইট স্থাপনের প্রথম দুটি প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয় পিয়ংইয়ং। তবে আবারও সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিয়েছে পিয়ংইয়ং।
পীত সাগর এবং পূর্ব চীন সাগর এলাকা থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপ করা হবে বলে গতকাল সোমবার জাপানের কোস্ট গার্ডকে ওই এলাকায় সতর্কবার্তা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।
জাপানের কোস্ট গার্ড বলেছে, উত্তর কোরিয়া ২২ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বরের মধ্যে পীত সাগর এবং পূর্ব চীন সাগর এলাকা থেকে স্যাটেলাইট বহনকারী একটি রকেট উৎক্ষেপণ করবে বলে সতর্কতা জারি করেছে।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে উত্তর কোরিয়ার এটি তৃতীয় প্রচেষ্টা হতে যাচ্ছে। পিয়ংইয়ং এবার মস্কোর কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নিচ্ছে বলে অভিযোগ সিউলের।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মহাকাশে উত্তর কোরিয়ার যেকোনো ধরনের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ নিষিদ্ধ করেছে। কারণ উত্তর কোরিয়ার এই কার্যক্রমকে তারা দেশটির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তির ছদ্মবেশী পরীক্ষা হিসেবে দেখে।
দক্ষিণ কোরিয়ার রিয়ার অ্যাডমিরাল কিম জি-হুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, কার্ল ভিনসনের আগমন একটি দৃঢ় সম্মিলিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমরা এর মাধ্যমে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র হুমকির মোকাবিলা করব।