থাইল্যান্ডের উত্তরের এক প্রত্যন্ত অঞ্চলে মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকায় থাই সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ১৫ সন্দেহভাজন মাদক চোরাকারবারি নিহত হয়েছে। সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি একথা জানিয়েছে।
ঘটনাস্থলের কাছেই থাইল্যান্ড, মিয়ারমার ও লাওসের সংযোগস্থল অবস্থিত। এই এলাকা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাচালান হচ্ছে।সংঘাত শেষে কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ১৭টি ব্যাগে ২০ লাখেরও বেশি অ্যামফেটামিন ট্যাবলেট চিহ্নিত করেন।
নাম না প্রকাশে অনিচ্ছুক সেনা কর্মকর্তা এএফপি’কে বলেন, ‘নিহত ১৫ জনের সবাই থাই নাগরিক কী-না আমরা এখনো জানতে পারিনি।’
মিয়ানমার অ্যামফেটামিন মাদকের অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারি দেশ। উৎপাদিত মাদকের একটি বড় অংশ সেখান থেকে থাইল্যান্ড ও লাওসের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যান্য দেশে পাচার হয়।
২০২১ এর ফেব্রুয়ারিতে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার পর থেকেই নানা গোলযোগ ও অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমার। তবে এই অভ্যুত্থানের আগে থেকেই দেশটিতে অবৈধ মাদকের উৎপাদন ও চোরাকারবার বাড়ছে।
সম্প্রতি আফগানিস্তানকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আফিম উৎপাদনকারী দেশের তকমা পেয়েছে মিয়ানমার।
থাইল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলের পার্বত্য এলাকাগুলোতে মাদক চোরাকারবারিদের সঙ্গে টহল সেনাদের প্রায়ই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে।