ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সঙ্গতি রেখে রাশিয়ান তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে বেঁধে দিয়েছে জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া। এর প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়া শনিবার বলেছে, পশ্চিমাদের রুশ তেল রপ্তানিতে মূল্যসীমা বেধে দেয়া একটি বিপজ্জনক প্রচেষ্টা। একই সাথে রাশিয়া দাবি করেছে, মূল্য নিধারণে রুশ তেলের চাহিদা কমবে না এবং তেলের জন্য ক্রেতাদের সন্ধান চালিয়ে যাবে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে রাশিয়ার দূতাবাস টেলিগ্রাম বার্তায় পশ্চিমাদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। এই ধরনের পদক্ষেপ মুক্ত বাজারের নীতিগুলোর পুনর্বিন্যাস বলেও অভিহিত করেছে দূতাবাস।
রাশিয়ার দূতাবাসের দাবি, মূল্য সীমা নির্ধারণের ফলে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পাবে এবং কাঁচামালের ভোক্তাদের জন্য উচ্চ খরচ আরোপ করবে। কিন্তু রাশিয়ান তেলের চাহিদা অব্যাহত থাকবে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এদিকে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ক্রেমলিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা সর্তক করেছেন, তেলের মূল্য সীমা কার্যকর করা দেশগুলোতে তেল সরবরাহ করবে না রাশিয়া।
অন্যদিকে, ইউক্রেন অনেক আগে থেকেই রাশিয়ার তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩০ থেকে ৪০ ডলারে বেঁধে দেয়ার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলো।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের একজন সিনিয়র সহকারী বলেছেন, রাশিয়ার অর্থনীতিকে আরও শক্তভাবে আঘাত করার জন্য রুশ অপরিশোধিত তেলের মূল্যসীমা ব্যারেল প্রতি ৩০ ডলারে নামিয়ে আনা উচিত ছিলো পশ্চিমা দেশগুলোর।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাশিয়ান তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৬০ ডলারে সীমাবদ্ধ করতে সম্মত হয়েছে শিল্পোন্নত সাত দেশের জোট জি৭ এবং অস্ট্রেলিয়া। মূলত, ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যয় করার জন্য রাশিয়ার আর্থিক উৎস সীমিত করে দেয়ার লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নতুন দাম নিধারনের ফলে জোটগুলোর বাইরের দেশগুলোতে সমুদ্রপথে রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল আমদানি অনুমোদন করবে জি৭ ও ইইউ। তবে বেঁধে দেয়া মূল্যের বেশিতে তেল কেনা হলে তা পরিবহনের অনুমতি পারবে না শিপিং কোম্পানিগুলো এবং যেসব জাহাজ রাশিয়ার অপরিশোধিত তেল পরিবহন করবে, তাদের ক্ষেত্রে বিমা প্রযোজ্য হবে না।