ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো সোমবার আফ্রিকার জন্য ফ্রান্সের পরিবর্তিত কৌশলের রূপরেখা তুলে ধরবেন। ফ্রান্সের সাবেক উপনিবেশ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশে ফ্রান্স বিরোধী মনোভাব চরম আকার ধারন করেছে। মধ্য আফ্রিকার চারটি দেশ সফরের দুই দিন আগে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে তিনি এ কথা জানান।
প্যারিস এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান চীনা ও রুশ প্রভাব মোকাবেলায় নতুন কৌশল নিতে যাচ্ছে। খবর এএফপি’র।
ম্যাঁক্রো একটি পরিবেশ বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গ্যাবনে যাবেন। তারপরে অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, বা কঙ্গো-ব্রাজাভিল ও সবশেষে প্রতিবেশী গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো যাবেন।
দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর প্রেসিডেন্ট অগ্রাধিকার ভিত্তিতে জুলাই মাসে ক্যামেরুন, বেনিন ও গিনি-বিসাউ সফরের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
প্রেসিডেন্টের কার্যালয় বলেছে, গত বছর পুননির্বাচিত ফ্রান্সের রাষ্ট্রপ্রধান অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সোমবার ফ্রান্স, ইউরোপ ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্ব আরও গভীর করার পদ্ধতি তুলে ধরবেন।
২০১৭ সালে বুর্কিনা ফাসোর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি ওই মহাদেশের ৫০টিরও বেশি দেশে তার সাবেক-উপনিবেশিক নীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
বছরের পর বছর জিহাদিদের যুদ্ধে সহায়তা করার পর মালি ও বুরকিনা ফাসো উভয় সাবেক ফরাসি উপনিবেশ থেকে তাদের সৈন্য প্রত্যাহার করায় নতুন সামরিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছিটকে পড়ে ফ্রান্স।