তুরস্কে ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর উদ্ধার তৎপরতাসহ নানা বিষয়ে সরকারি কার্যক্রম নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান বুধবার ‘ঘাটতি’ থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে সিরিয়া ও তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এদিকে সরকারি একটি সুত্র জানিয়েছে, সিরিয়ায় একই পরিবারের ২৫ জন মারা গেছেন।
ভূমিকম্পে ধসে পড়া হাজার হাজার ভবনের নীচে অজ্ঞাত সংখ্যক লোক আটকা পড়ে আছে। হিমশীতল আবওহায়ার কারণে ত্রাণ কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে।
এছাড়া জীবিতরা খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্যে হাহাকার করছে। কিছু ক্ষেত্রে স্বজনরা তাদের প্রিয়জনকে উদ্ধারে অসহায়ভাবে অপেক্ষা করছে।
তুরস্কের হাতায়ে একজন কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক বলেছেন, আমার বোন, ভগ্নিপতি ও তাদের সন্তান ধ্বংসস্তুপের নীচে পড়ে আছে। আমরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না। আমরা তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু তারা কোন সাড়াই দিচ্ছে না। আমরা সাহায্যের আশায় আছি। এখন ৪৮ ঘন্টা হয়ে গেছে।
এদিকে ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র এবং সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কাহরামানমারস এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছেন তুর্কি নেতা এরদোয়ান। তিনি সমস্যার কথা অপকটে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেছেন, অবশ্যই, ঘাটতি রয়েছে। পরিস্থিতি স্পষ্ট। এ ধরনের দুর্যোগের জন্যে তো প্রস্তুত থাকা সম্ভব নয়।
কর্মকর্তা ও হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, সোমবারের ৭ দশমিক ৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পে তুরস্কে ১২,৩১৯ জন এবং সিরিয়ায় ২,৯৯২ জন মারা গেছে।
এ সংখ্যা দ্রুতই বাড়বে বলে বিশ্লেষকরা আশংকা করছেন।
এদিকে সিরিয়া ও তুরস্কের জন্যে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সরবরাহের লক্ষে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ব্রাসেলসে মার্চে দাতা সম্মেলনের আয়োজন করতে যাচ্ছে।
ইইউ প্রধান উরসালা ভন দার লিয়েন টুইটারে বলেছেন, আমরা এখন জীবন বাঁচাতে সময়ের বিরুদ্ধে একসাথে ছুটে যাচ্ছি।
এ ধরনের ট্রাজেডিতে কাউকে এক ঘরে করে রাখা উচিত নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৩৯ সালের পর তুরস্কে এবারের ভূমিকম্প সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সময়ে এরজিনকান প্রদেশে ভূমিকম্পে ৩৩ হাজার লোক মারা গিয়েছিল।