You are here
Home > বিশ্ব > এবার ৩৭ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ

এবার ৩৭ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ

মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্ব মানবাধিকার দিবসকে সামনে রাখে স্থানীয় সময় শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এই নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন। খবর রয়টার্সের।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর ১৩টি দেশের ৩৭ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ১৩টি দেশ হলো আফগানিস্তান, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, কঙ্গো, হাইতি, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাইবেরিয়া, চীন, রাশিয়া, দক্ষিণ সুদান ও সুদান, সিরিয়া, উগান্ডা ও জিম্বাবুয়ে। এই পদক্ষেপ ব্রিটেন ও কানাডার সঙ্গে সমন্বয় করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে এজেন্ট নিয়োগ দানের অভিযোগে দুজন ইরানি গোয়েন্দা কর্মকর্তা ওপর শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় সোলেইমানি নিহত হলে তার হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল ইরান। তিনি তেহরানের সবচেয়ে প্রভাবশালী সামরিক কমান্ডার ও মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের প্রভাব বিস্তারের কারিগর ছিলেন।

আফগানিস্তানের নারী ও মেয়েদের ওপর নিপীড়নের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে সরকারের দুজন মন্ত্রীও রয়েছেন।

চীনের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চল জিনজিয়াংয়ে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে মধ্যম পর্যায়ের দুজন চীনা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। ওয়াশিংটনের অভিযোগ, জিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা পরিচালনা করছে চীন।

গত এক বছরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫০-এর বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে লেনদেনে জড়িত থাকলে মার্কিন নাগরিকরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারেন।

শুক্রবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এক বিবৃতিতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় জবাবদিহি নিশ্চিত করা এবং মার্কিন অর্থব্যবস্থাকে তাদের কাছ থেকে সুরক্ষিত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, তা এই নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top