জার্মানিতে বৃহস্পতিবার দৈনিক কভিড-১৯ সংক্রমণ এ যাবতকালের সর্বোচ্চ সংখ্যায় পৌঁছেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্ক করে বলেছে ইউরোপজুড়ে আরো ৫ লাখ লোকের মৃত্যু হতে পারে এবং সংক্রমণ আবারো বাড়তে পারে।
এই শীতে ভাইরাসের আরেকটি ধরন এড়াতে যুক্তরাজ্যে প্রথম অ্যান্টি-কভিড পিল অনুমোদন এবং যুক্তরাষ্ট্র ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন বিধান ঘোষণা করে তাদের কর্মীদের ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম করে তোলার নির্দেশনার মধ্যে জার্মানিতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার খবর পাওয়া গেল।
ইউরোপে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া প্রসঙ্গে হু’র জরুরী বিষয়ক পরিচালক মাইকেল রায়ান সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘আমি মনে করি ইউরোপে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন থাকা সত্ত্বেও কী ঘটছে সে দিকে দৃষ্টি রাখার ব্যাপারে এটি বিশ্বের জন্য একটি সতর্কতামূলক সংকেত।’
রবার্ট কোচ ইনস্টিটিউটের মতে, ইইউ’র সবচেয়ে জনবহুল দেশ জার্মানিতে গত ২৪ ঘন্টায় প্রায় ৩৪ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছে। যা দৈনিক সংক্রমণের নতুন রেকর্ড।
বারবার নতুন সংক্রমণে সাম্প্রতিক রেকর্ড ভঙ্গকারী রাশিয়ার পদাঙ্ক অনুসরন করে ক্রোয়েশিয়াও দৈনিক সংক্রমনের নতুন রেকর্ড করেছে। এখানে এক দিনে ৬ হাজার ৩১০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
ইউরোপে সংক্রমণ বৃদ্ধির চলমান পরিস্থিতিতে হু’র ইউরোপ প্রধান ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করে সতর্ক করেছেন, ‘একটি নির্ভরযোগ্য প্রক্ষেপণ’ অনুসারে বর্তমান গতিপথের অর্থ হলো ফেব্রুয়ারির মধ্যে ‘আরো পাঁচ লাখ লোকের মৃত্যু’ হতে পারে।
হু’র ইউরোপ প্রধান হ্যান্স ক্লুগ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন,‘আমরা পুনরায় মহামারিতে আক্রান্ত হচ্ছি।’
হু এ জন্য অপর্যাপ্ত টিকা দেয়ার হার এবং মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্বের মতো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার শিথিলতাকে দায়ী করেছে।
ক্লুগ বলেন, যে সব দেশে ভ্যাকসিন প্রদানের হার কম সে সব দেশে হাসপাতালে ভর্তির হার বেশী।
সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত হিসাব সমন্বয় করে এএফপি জানায়, ইউরোপে দৈনিক সংক্রমণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬শ’ জন। গত ৭ দিনে রাশিয়ায় ৮ হাজার ১শ’র বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনে ৩ হাজার ৮শ’ জন এবং রোমানিয়ায় ৩ হাজার ১শ’ জনের মৃত্যু হয়েছে।