জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার রাশিয়ার খাদ্য শস্যের চালান সুবিধাসহ ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর ব্যাপারে ‘সার্বিক প্রচেষ্টা চালাতে ‘সকল পক্ষের’ প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তার মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপি’র।
জাতিসংঘ, ইউক্রেন, রাশিয়া ও তুরস্কের জুলাই মাসে স্বাক্ষরিত তথাকথিত কৃষ্ণ সাগর চুক্তির আওতায় ৯০ লাখ টনেরও বেশি ইউক্রেনের খাদ্য শস্য রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক খাদ্য সংকট দূর করতে তখন চুক্তিটি করা হয়। এদিকে এ চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে চললেও খাদ্যের দাম বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং এক্ষেত্রে অনিশ্চয়তাও রয়েছে।
এদিকে দ্বিতীয় চুক্তির অংশ হিসেবে রাশিয়ার নিজস্ব শস্য ও সার রপ্তানি করতে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করে দেয়া মস্কোর বিবৃতি থেকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার গুতেরেসের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক উল্লেখ করেন যে, প্রাথমিক চুক্তিটি ১২০ দিন স্থায়ী হয়েছিল। ‘কোন পক্ষ আপত্তি না করলে’ আগামী ১৯ নভেম্বর নবায়নের নতুন মেয়াদ নির্ধারণ করা হবে।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ব্ল্যাক সি গ্রেইন ইনিশিয়েটিভকে নবায়ন করার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা চালানোর এবং রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানির ক্ষেত্রে থাকা যেকোন বাধা দ্রুত অপসারণসহ উভয় চুক্তিকে তাদের সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা চ্যালেঞ্জগুলোকে অবমূল্যায়ন করি না, তবে আমরা জানি তারা সেগুলো অতিক্রম করতে পারবে।’
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, সরকার, শিপিং কোম্পানি, শস্য ও সার ব্যবসায়ী এবং সারা বিশ্বের কৃষকরা ভবিষ্যতের বিষয়ে এখন স্পষ্টতা খঁজছেন।’
এদিকে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে মস্কো তাদের উৎপাদিত সার বিক্রি করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছে।
জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, মস্কো চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়ার আগে অবশ্যই রাশিয়ার রপ্তানির সুযোগ দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরেই বলে আসছি যে এক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা একই রয়ে গেছে।’