রাশিয়া ইউক্রেনে নতুন করে আরো ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। এতে সংকট আরো তীব্র আকার ধারন করেছে।
এদিকে এ হামলার কারনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগকে আরো উস্কে দেয়া হয়েছে।
ইউক্রেনের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি। এ অবস্থায় রুশ হামলার কারনে কিছু অঞ্চলে পানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
দেশটির জাতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছে, উত্তর, দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোয় রাশিয়ার বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারনে বিদ্যুৎ সরবরাহ ফের চালু করতে দীর্ঘ সময় লেগে যেতে পারে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইউক্রেনার্গো আরো জানিয়েছে, বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে হাসপাতাল, পানি সরবরাহ কেন্দ্র, তাপ সরবরাহ কেন্দ্রসহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোকে প্রাধান্য দেয়া হবে।
এদিকে রাজধানীর বাসিন্দারা শুক্রবার সকালে সাইরেন বেজে ওঠার সাথে সাথে গায়ে কোট জড়িয়ে দ্রুত ভূগর্ভস্থ মেট্রো স্টেশনে ঢুকে পড়ে।
কিয়েভ বাসিন্দা ২৫ বছর বয়স্ক লাদা করোভাই বলেছেন, আমি জেগে ওঠি। আকাশে রকেট দেখতে পাই। এতে আমি বুঝে যাই আমাকে টিউবে ঢুকে পড়তে হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা এ পরিস্থিতিতে বাস করছি। এটি যুদ্ধ, এটি বাস্তব যুদ্ধ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল এ ধরনের নির্বিচার সন্ত্রাসের নিন্দা জানিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এই হামলা যুদ্ধাপরাধ ও বর্বর। হামলার জন্যে দায়ী সকলকে জবাবদিহি করতে হবে।
উল্লেখ্য, রাশিয়ার একের পর এক বিমান হামলায় ইউক্রেনের প্রায় অর্ধেক বিদ্যুৎ অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবারের হামলায় ১৪ জন প্রাণ হারিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কিরিলো টিমোশেঙ্কো।
রাশিয়ার নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, রুশ নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় লুগানস্ক অঞ্চলে কিয়েভ বাহিনীর ছোড়া গোলায় ৮ জন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছে।