ডোনেটস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভুগলেদার শহরের নিয়ন্ত্রণের জন্য দক্ষিণ ফ্রন্টে দুই পক্ষের যুদ্ধে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা শুক্রবার রাশিয়ান যোদ্ধাদের সাথে একটি ‘ভয়ঙ্কর’ সংঘর্ষে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল।
উভয় পক্ষই কৌশলগত পাভলিভকা গ্রাম থেকে অল্প দূরত্বে সমতল ভূমিতে অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারের ছোট প্রশাসনিক কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রনে সাফল্যের দাবি করেছে।
ডোনেটস্ক অঞ্চলের মস্কো-নিযুক্ত নেতা ডেনিস পুশিলিন বলেছেন,‘এই শহরের ঘেরাও এবং পরবর্তীতে মুক্তি অনেক সমস্যার সমাধান করবে।’
রাশিয়ান সংবাদ সংস্থাগুলো তার বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে,‘শীঘ্রই, ভুগলেদার আমাদের জন্য একটি নতুন, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য হতে পারে।’
কিন্তু কিয়েভ বলেছে, শহরটিতে আক্রমণের আগে প্রায় ১৫,০০০ জনসংখ্যা ছিল, এখনো সেখানে লড়াই চলছে।
ইউক্রেনের সামরিক মুখপাত্র সের্গেই চেরেভাটি স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সেখানে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ চলছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক মাস ধরে, রাশিয়ান ফেডারেশনের সামরিক বাহিনী সেখানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জনের চেষ্টা করছে।’
ইতিমধ্যেই রাশিয়ার একটি অংশ ঘোষণা করা সমগ্র ডোনেটস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভুগলেদার দখলের জন্য মস্কো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
শহরটি একটি দক্ষিণ ফ্রন্টের সাথে অবস্থিত, এতে মনে করা হচ্ছে রাশিয়ান-অধিকৃত অঞ্চল আজভ সাগরের সাথে রাশিয়ান সংযোগ কেটে ফেলার জন্য শহরটি ইউক্রেনের আক্রমণের সম্ভাব্য কেন্দ্রবিন্দু হতে পারে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন শুক্রবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আক্রমনের জন্য আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মরণ দিবস ব্যবহার করেছেন, ১১ মাসব্যাপী আগ্রাসনের ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য ইউক্রেনকে ‘নব্য-নাৎসি’ বলে অভিহিত করেছেন।
পুতিন বলেন, ‘ইতিহাসের পাঠ ভুলে যাওয়ায় তা ভয়ানক ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তির দিকে নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, ‘সেই দুষ্টের বিরুদ্ধে আমাদের সৈন্যরা সাহসিকতার সাথে লড়াই করছে।’
কিন্তু পোল্যান্ডে, যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রায় তিন মিলিয়ন ইহুদি হত্যা করা হয়েছিল, এ ঘটনায় কর্মকর্তারা নাৎসি চিন্তাভাবনাকে চিরস্থায়ী হিসাবে রাশিয়ার দিকে আঙুল তুলেছিলেন।
পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি ফেসবুকে বলেছেন,‘নাৎসি জার্মান ডেথ ক্যাম্প আউশউইৎস-বিরকেনাউ-এর মুক্তির বার্ষিকীতে, আসুন আমরা মনে রাখি যে পূর্বে (পূর্ব ইউরোপে) পুতিন নতুন ক্যাম্প তৈরি করছেন।’ ‘ইতিহাস যাতে পুনরায় ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার জন্য ইউক্রেনের প্রতি সংহতি এবং ধারাবাহিক সমর্থনই হচ্ছে কার্যকর উপায়।’
হলোকাস্ট স্মরণ দিবসে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি বিশ্বকে ‘উদাসিনতা’ এবং ‘বিদ্বেষ’ এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।