রাশিয়া শনিবার বলেছে, তারা যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল পূর্ব ইউক্রেনের শহর বাখমুত দখল করেছে। প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন তার সৈন্য এবং ব্যক্তিগত ভাড়াটে গোষ্ঠী ওয়াগনারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে এবং পরিস্থিতি ‘সঙ্কটজনক’ কিয়েভ একথা স্বীকার করার কয়েক ঘন্টা পরে রাশিয়ান সেনাবাহিনীর বাখমুত দখলের এই ঘোষণা দেয়। ইউক্রেনের নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি এ সময় জাপানে জি৭ নেতাদের সাথে বৈঠক করেন।
লবণ-খনির শহর বাখমুতে একসময় জনসংখ্যা ছিল ৭০ হাজার। বছরেরও বেশি সময় ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ান আক্রমণে সবচেয়ে দীর্ঘতম এবং রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের দৃশ্য ছিল এই শহরটি ঘিরে।
বাখমুতের যুদ্ধে মস্কো এবং কিয়েভ উভয়ই বিশাল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে মনে করা হয়, মস্কোর একের পর এক অপমানজনক পরাজয়ের পর বাখমুত দখল একটি বড় বিজয়।
আগেই কিয়েভ জানিয়েছে তারা একটি বড় পাল্টা আক্রমণের জন্য কয়েক মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলেনস্কি নিজেই সতর্ক করেছেন, শহরের পতন রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য ডনবাসের আরও অংশ দখলের পথ খুলে দেবে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বাখমুতের সোভিয়েত যুগের নাম আর্টেমোভস্ক ব্যবহার করে বলেছে, ‘ওয়াগনার অ্যাসল্ট ইউনিটের আক্রমণাত্মক কর্মকান্ডের ফলে, ‘সাউদার্ন’ ইউনিটের আর্টিলারি এবং বিমান হামলার সহায়তায়, আর্টেমোভস্ক শহরের বিজয় সম্পন্ন হয়েছে।
ক্রেমলিনের বিবৃতি উল্লেখ করে তাস নিউজ এজেন্সি জানায়, ‘ভøাদিমির পুতিন শহরটিকে মুক্ত করার অভিযান শেষ হওয়ার জন্য ওয়াগনারের আক্রমণকারী ইউনিট এবং সেইসাথে রাশিয়ান সশস্ত্র বাহিনীর ইউনিটের সমস্ত সৈনিকদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।’ ওয়াগনারের বস ইয়েভজেনি প্রিগোজিন এর আগে টেলিগ্রামে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে শহরটি তার ভাড়াটে যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করেছে। যেখানে যোদ্ধারা ধ্বংসাবশেষের মধ্যে রাশিয়ার পতাকা প্রদর্শন করে।