ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ফাইভ-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হবে।
এর সুফল হিসেবে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ গ্রামে নিজ বাড়ীতে বসেই চিকিৎসার সুযোগ পাবে উল্লেখ করে তিনি চিকিৎসাক্ষেত্রে বিস্ময়কর এ সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।
মোস্তাফা জব্বার শনিবার রাতে নারীরোগতত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন এন্ডমেট্রিয়সিস অ্যাডনোমাইয়োসিস স্যোসাইটি অব বাংলাদেশ (ইএএসবি) আয়োজিত ফাস্ট ভার্চূয়্যাল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স’র সমাপনি অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট দেশের ৮০টি উপজেলায় চিকিৎসাকেন্দ্র চালু করার পাশাপাশি তা সফলভাবে পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ফোর-জি প্রযুক্তি দিয়েই দেশে টেলিমেডিসিন সেবা সম্প্রসারণ করেছি’। তাই ফাইভ-জি প্রযুক্তি চিকিৎসাক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী নারী ও কিশোরীদের বয়:সন্ধিকালিন কিছু সমস্যা থেকে উদ্ভুত রোগ সম্পর্কে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরত্ব আরোপ করেন।
শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শিক্ষায় নারীদের অংশ গ্রহণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়:সন্ধিকালিন সমস্যার ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষিকাদের সচেতন করতে পারলে ভাল কাজ হবে। অনেক জটিল রোগের উৎপত্তি বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি এ সম্পর্কিত সচেতনতার জন্য টিভি চ্যানেলগুলোর পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্ব দেন। মন্ত্রী এ ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এ ধরণের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করায় মোস্তাফা জব্বার আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন,‘বঙ্গবন্ধুর প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির মাতৃকুলসহ সকল নাগরিকের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব’।
ইএএসবি’র সভাপতি প্রফেসর শামেলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর সালেহা বেগম চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সংগঠনের কর্মকর্তা প্রফেসর শাহানারা চৌধুরী, প্রফেসর এমএ তাহের এবং প্রফেসর মলয়কান্তি চক্রবর্তী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বক্তারা, মাতৃস্বাস্থ্য বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনা সৃষ্টি তাদের সুচিকৎসা নিশ্চিতের প্রয়াজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।