ফরিদপুরের খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট।
আসামি খোন্দকার বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এ আসামির জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ মন্তব্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মিজানুর রহমান।
শুনানিকালে আদালত বলেন, এ মামলায় সংঘটিত অপরাধের মাস্টারমাইন্ড ও রিং লিডার মোহতেশাম। তিনি অন্য আসামিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়েছেন ও পরামর্শদাতা ছিলেন। তার কারণে সরকার ও দেশের মানুষের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এ ধরনের আসামিদের জামিন দেব কেন বলে প্রশ্ন তুলেন আদালত।
পরে আদালত তার আবেদন খারিজ করতে চাইলে ‘উত্থাপিত হয়নি’ মর্মে খারিজ করার আবেদন জানান আসামি খোন্দকার বাবরের আইনজীবী।
আদালত বলেন, এজাহার ও চার্জশিট পর্যালোচনায় দেখতে পেরেছি, আসামি একজন সাবেক মন্ত্রীর ভাই। তার একটা লিডারশিপ রয়েছে। এলজিইডি থেকে শুরু করে এমন কোনো দপ্তর নেই যেখানে তিনি টেন্ডারবাজি করেননি। তখন আইনজীবী মিজানুর রহমান বলেন, তার মোয়াক্কেল মন্ত্রীর ভাই ঠিক আছে। তিনি অপ্রপচারের শিকার। আদালত বলেন, আসামির বিরুদ্ধে নথিতে অপরাধের প্রাথমিক উপাদান রয়েছে।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি এটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, অর্থ পাচারতো একটা অর্গানাইজড ক্রাইম। এ অপরাধের পেছনে প্রধান হোতা হচ্ছেন বাবর। তার নেতৃত্বে এ সিন্ডিকেট চলেছে।
এরপর আদালত বাবরের জামিন আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
গত ২৪ মার্চ বাবরের জামিন নামঞ্জুর করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক নজরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন।
দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরকে
গত ৭ মার্চ গ্রেফতার করে পুলিশ। ঢাকার একটি আবাসিক এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।বাবর সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই।
২০২১ সালের ৩ মার্চ দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় বাবরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে সিআইডি। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস।
ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন আদালত। সেই সঙ্গে খোন্দকার বাবরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।