You are here
Home > জাতীয় > ১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য নির্ধারণ, ট্যানারি শিল্পে ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

১০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি লক্ষ্য নির্ধারণ, ট্যানারি শিল্পে ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা

টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি  পণ্য হিসেবে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে ভবিষ্যতে এই খাতে প্রায় ৫০ লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থানের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে।

রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে চামড়া শিল্পে সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে ও শ্রম অধিকার সম্পর্কিত একটি জাতীয় সেমিনারে সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশ অফিসের প্রোগ্রাম অফিসার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম মূল প্রবন্ধে এই তথ্য জানান।

 সলিডারিটি সেন্টার, বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একেএম নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে বক্তব্য রাখেন  ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ লেবার ফাউন্ডেশন (বিএলএফ)-এর মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম, এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাদাত সদরুদ্দিন শিবলী, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুড্স, এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, ট্যানারী ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।

চামড়া শিল্পে সুষ্ঠু শিল্প সম্পর্ক উন্নয়নে পাঁচ-দফা সুপারিশ পেশ করে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম বলেন, শ্র্রমিকদের স্বাস্থ্য-নিরাপত্তা ও সোশাল কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে মালিক পক্ষ, শ্রমিক পক্ষ ও সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণে একটি পূর্ণাঙ্গ কৌশলপত্র প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে শ্রমিক-মালিক উভয়েই যেন দ্রুত সহযোগিতা পান সে লক্ষ্যে সরকারের নীতি নির্ধারক মহল থেকে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ, চামড়া শিল্প এলাকায় একটি স্থায়ী স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতাল স্থাপন করা, চামড়া শিল্প এলাকায় শ্রমিকদের জন্য আবাসন সুবিধার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি কারখানাভিত্তিক কার্যকর সেইফটি কমিটি গঠন করে সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি উন্নয়নে কাজ করা, পরিবেশ দূষণ প্রশ্নে শিল্প বন্ধের যে আলোচনা চলছে তা সরকার কর্তৃক পুনর্বিবেচনা করে শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় শ্রমিক-মালিক ও সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে আলোচনাক্রমে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।

 ফিনিশড লেদার, লেদার গুড্স, এন্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন বলেন, “সরকারের নীতি সহায়তা পেলে চামড়া শিল্প হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় কর্মসংস্থানের খাত। এজন্য সরকারকে শিল্পউদ্যোক্তাদের বর্তমান সমস্যা দূরীকরণে সহায়তা করতে হবে। শ্রমিকের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হলে এবং চামড়া শিল্পকে রক্ষা করতে হলে উদ্যোক্তাদেরকেই প্রথমে বাঁচাতে হবে।

ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজির পরিচালক ড. মিজানুর রহমান বলেন, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীগণই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। তাদেরকে অবশ্যই শ্রমিক অধিকারসহ সকল নিয়মকানুন মেনে ব্যবসা করতে হবে এবং শিল্পের বিকাশ নিশ্চিত করার জন্য সরকারের সাথে দরকষাকষি করার ক্ষেত্রে তৎপর হতে হবে।

বিএলএফ এর মহাসচিব জেড এম কামরুল আনাম বলেন, “চামড়া শিল্প ও শ্রমিক রক্ষায় যে শ্রম ও কর্মসংস্থ’ান মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে যে একশন প্লান বা কর্মপরিকল্পনা গৃহীত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সরকার, মালিকসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।”

এশিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোহাম্মদ সাদাত সদরুদ্দিন শিবলী বলেন, মালিক ও শ্রমিক পক্ষের মধ্যে ত্রৈমাসিক বা ষান্মাসিক ভিত্তিতে নিয়মিত বৈঠক আয়োজন করে সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, মালিকদের উচিত অবশ্যই শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা। ফ্যাক্টরিতে সোশ্যাল কম্পলায়েন্স নিশ্চিত করতে চাইলে এর কোন বিকল্প নেই।

সলিডারিটি সেন্টার-বাংলাদেশ অফিসের কান্ট্রি প্রোগ্রাম ডিরেক্টর একেএম নাসিম বলেন, চামড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি খাত। বাংলাদেশের জন্য অতীব সম্ভাবনাময় পণ্য হচ্ছে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার এই খাতকে অগ্রাধিকার খাত হিসেবে বিবেচনা করছে।

Similar Articles

Leave a Reply

Top