ঢাকা-১৭ আসনে ভোট গ্রহণকালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাদের গ্রেফতার করা হয়। হিরো আলমের ওপর তৃতীয় কোনো পক্ষ হামলা করেছে কিনা, সে বিষয়ে তদন্ত করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সারা দিন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের একেবারে শেষ পর্যায়ে বিচ্ছিন্ন একটা ঘটনা ঘটে। ৩ থেকে ৪ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে। কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও নাম পেয়েছি। তাদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। গলার মধ্যে ব্যাজ ধারণ করে যারা এই হামলা করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই হামলা কিনা- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জড়িতরা যে রাজনৈতিক দলের হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না উল্লেখ করে হারুন বলেন, ‘আমরা তদন্ত করে দেখছি। এক দলের ব্যাজ ধারণ করা লোকজনের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষ ছিল কি না, তা জানার চেষ্টা করছি।’
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, পুলিশ হিরো আলমের অফিসে গেছে। কিন্তু পুলিশ যাওয়ার আগেই তিনি অফিস ছেড়ে চলে গেছেন। তবুও তাকে মামলা করতে বলা হয়েছে।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সকাল ১০টার দিকে হিরো আলম বনানীর বিদ্যানিকেতন স্কুল কেন্দ্রে ৫০ থেকে ৬০ জনকে নিয়ে পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে দিনের বেলায় যখন কথা হয়েছে, তখন তিনি বলেছেন নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে। পরের তিনটার দিকে অনেক লোক নিয়ে আবারও তিনি বিদ্যানিকেতন স্কুলের কেন্দ্রে যান। আমরা সিসিটিভি ফুটেছে দেখছি হিরো আলম কাউকে মারতে উদ্যত হচ্ছেন। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। তিনি কেন্দ্রের বাইরে এলে এই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে।’