স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক গাড়িচালক আব্দুল মালেককে অবৈধ অস্ত্র ও গুলি রাখার অপরাধে ৩০ বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
গতকাল সোমবার ঢাকার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রবিউল আলম, আসামি আব্দুল মালেককে অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ধারায় ১৫ বছর ও ১৯ (এফ) ধারায় আরো ১৫ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়। তবে দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে তাকে ১৫ বছরের সাজাই ভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন ।
রাষ্ট্রপক্ষের মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আবদুল্লাহ আবু রায়ের বিষয়টি নিশ্চত করেন এবং সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সালাউদ্দিন হাওলাদার এই রায়ে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম বলেন, রায়ে আমরা সংক্ষুব্ধ। আসামিপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলেও জানান।
গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর ভোরে রাজধানীর তুরাগ এলাকা থেকে গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে ড্রাইভার মালেককে অবৈধ অস্ত্র, জাল নোটের ব্যবসা ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক করে র্যাব-১। এ সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় র্যাব-১ এর পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে তুরাগ থানায় অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেন।
রায় ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে মালেকের মা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, আমার ছেলে নির্দোষ। তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মালেকের স্ত্রী বলেন, তাকে যখন আটক করা হয়েছিল তখন তার কাছে কিছু পাওয়া যায়নি, পরে তাকে অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে। রায়ের পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িচালক আব্দুল মালেক বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হলো।
গত ৫ সেপ্টেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালত ১৩ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন ।