মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শুধু উচ্চারণে নয়, মনেপ্রাণে ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাংলাদেশ হাউজ প্রাঙ্গণে শনিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ হাইকমিশন, লন্ডন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু হয়।
যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধাগণ এবং লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে বঙ্গবন্ধুকে মনেপ্রাণে স্মরণ করতে তাঁর সততা, আত্মপ্রত্যয়, দেশপ্রেম এবং দূরদর্শীতা সম্পর্কে জানতে হবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি কতটা মেধার ব্যপ্তি ব্যবহার করেছিলেন তাও জানতে হবে।
তিনি আরে বলেন, মুক্তি সংগ্রামের প্রেক্ষাপট আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। অনেকেই মনে করে মুক্তিযুদ্ধ মানে নয় মাসের একটি যুদ্ধ মাত্র। এর জন্য ১৯৪৮ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে একটি জাতিকে সুসংগঠিত করে তাদের মুক্তির চেতনায়, স্বাধিকার আন্দোলনে ও স্বপ্নের স্বাধীনতা অর্জনে কীভাবে প্রস্তুত করতে হয়েছিল, সে কথা মানুষকে জানাতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবন ও সংগ্রামের গৌরবোজ্জ্বল দিক তুলে ধরে বঙ্গবন্ধু কীভাবে একটি জাতিকে স্বাধীকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, সে ইতিহাস এ সময় তুলে ধরেন মন্ত্রী।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে ও দেশের বাইরে নানাভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এবং অন্যদের সহায়তায় ষড়যন্ত্র করছে। দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠান শেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে, বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের স্মরণে এবং বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা ও কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।