শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এই আদেশ দেন।
রুল জারির পাশাপাশি আদালত সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র অন্তর্ভুক্ত করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনেরও নির্দেশ দিয়েছে। রিট পিটিশনার এডভোকেট উত্তম লাহেড়ি আদালতের আদেশের বিষয়টি বাসসকে জানান। তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞ কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি। তাকে সহযোগিতা করেন এডভোকেট শাকিলা রওশন, এডভোকেট সেগুফতা তাবাসসুম ও এডভোকেট এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
ডেপুটি এটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বাসসকে জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট বিভাগ। গতকাল বিষয়টি নিয়ে শুনানি শেষে আজ আদেশের দিন ধার্য করে দিয়েছিল আদালত।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্রের অন্তর্ভুক্তির নির্দেশনা চেয়ে গত ২ ডিসেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আইনজীবী উত্তম লাহেড়ির পক্ষে রিটটি করা হয়। এরআগে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ দেয়া হয়।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবসহ ১০ জনকে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়েছে।
আইনজীবী এবিএম শাহজাহান আকন্দ মাসুম সাংবাদিকদের বলেন, পরবর্তী প্রজন্ম যেন স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র সম্পর্কে জানতে পারে। এ কারণে পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতার ঘোষণা ও ঘোষণাপত্র এখন সময়ের দাবি। বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আর্জি পেশ করে রিটটি করা হয়।