বন্যা পরবর্তী স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ফ্রি স্বাস্থ্যক্যাম্প কর্মসূচির আওতায় সুনামগঞ্জে ১ হাজার বানবাসি মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে।
শিশু, মহিলা ও পুরুষদের হার্ট, চর্ম, যৌন ও ডায়াবেটিক রোগীদের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিনামূল্যে ব্যবস্থাপত্র ও ঔষধপত্র দেয়া হয়। বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘পদক্ষেপ’ মানবিক উন্নয়ন কেন্দ্র সমৃদ্ধি কর্মসূচির উদ্যোগে সদর উপজেলার সদরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গতকাল মঙ্গলবার এবং পৌর এলাকার জলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৭ জুলাই বুধবার ২ দিনব্যাপি কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে সুরমা ইউনিয়নের পশ্চিম সদরগড়, আমিরপুর, কুরুতলা এবং সুনামগঞ্জ পৌরসভার জলিলপুর,ওয়েজখালী ও পিরোজপুর গ্রামের সহস্রাধিক শিশু, মহিলা ও পুরুষদের এ সেবা প্রদান করা হয়। সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম ও পদক্ষেপ-এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইউসুফ নবী স্বাস্থ্য ক্যাম্পে উপস্থিত রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া। এছাড়াও পদক্ষেপ-এর সহকারি পরিচালক ও জোনাল ম্যানেজার মোঃ রফিকুল ইসলাম, সুনামগঞ্জ এরিয়ার এরিয়া ম্যানেজার সিনিয়র ব্যবস্থাপক গোলাম এহিয়া, সুনামগঞ্জ পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোলাম আহাদ, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন রেজা, সাংবাদিক বাউল আল-হেলাল, সুরমা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আফসান পারভেজ, সদরগড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমীন মজুমদার, সহকারি শিক্ষক দীপ্তিরানী দাশ, নুরুল ইসলাম, হারুন রশিদ, আকলিমুন নেছা,পদক্ষেপ সদর ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মোঃ কামরুজ্জামান, সুরমা ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মোঃ বাদল হোসেন, সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা (এসডিও) মোঃ জাহিদুল ইসলাম,পদক্ষেপ-এর স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সনেট রায় ও দিপংকর মালাকারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। পদক্ষেপ সুনামগঞ্জ এরিয়ার সিনিয়র ব্যবস্থাপক ও এরিয়া ম্যানেজার গোলাম এহিয়া বলেন, ১৯৮৬ সালে বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলা থেকে পদক্ষেপ-এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। বর্তমানে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, কমিউনিটি উন্নয়ন কার্যক্রম, ঋণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে এই সংস্থাটি। এ ধরনের ৫২টি ক্যাম্প ইতোপূর্বে সফলভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কর্মসূচিটি এলাকায় ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি করেছে। বৈরী আবহাওয়া ও চলমান বন্যার মধ্যেও সাধারণ মানুষ ক্যাম্পে এসে সশরীরে হাজির হয়ে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন। সব মিলিয়ে তাদের এ আয়োজনটি সফল হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।